বসিরহাট: সন্দেশখালির ত্রাণ কাণ্ডে এবার রাজ্যের মন্ত্রী ও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের মধ্যে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দীকুল্লা চৌধুরীর বিরুদ্ধে এবার আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব৷
মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তাই এবার তৃণমূল কংগ্রেস আইনি ব্যবস্থা ও মানহানির মামলা করার পথে হাঁটবে বলে জানিয়েছেন সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য শিবপ্রসাদ হাজরা। তাঁরা বলেন, ‘‘মন্ত্রী কোনো কিছু না জানিয়ে এলাকায় এসেছিলেন। ইয়াশের ৪৫ দিন পরে তিনি কেন সুন্দরবনে আসলেন? স্থানীয় বিধায়ক, সভাপতি সহ একাধিক নেতৃত্বকে তার আসার কথা গোপন রেখে, এমনকি প্রশাসনকে না জানিয়ে কেন দুর্গতদের কাছে আসলেন? সেখানে পর্যাপ্ত ত্রাণও ছিল না, যার জন্য দুর্গতরা লুঠ করেছে। তিনি চক্রান্ত করে আমাদের নামে কুৎসা করছেন। তাই বাধ্য হয়ে আমরা আইনি পদক্ষেপ নেব৷”
বসিরহাট মহকুমার সন্দেশখালির সরবেড়িয়াতে গত ১৬ই জুলাই শুক্রবার ইয়াশের পরবর্তীতে ত্রাণ দিতে গিয়ে দুর্গতদের হাতে আক্রান্ত হন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দীকুল্লাহ্ চৌধুরী। যার জেরে কখনো দক্ষিণ ২৪ পরগণার ভাঙড়ে, আবার কখনো উত্তর ২৪ পরগণার খোলাপোতার টাকি রোডে, কখনো বা ইটিন্ডা রোডে মন্ত্রী আক্রান্তের ঘটনার প্রতিবাদে অবরোধ হয়। পাশাপাশি এই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে অনড় গ্রন্থাগার মন্ত্রী। আক্রান্ত ও হেনস্থার ঘটনায় সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো ও তৃণমূল কংগ্রেসের সন্দেশখালি বিধানসভার আহ্বায়ক শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে বারবার প্রশাসনের কাছে দরবার করেছেন তারা। বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারের কাছে নির্দিষ্ট নামের তালিকা দিয়ে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন তিনি। এরপরই পাল্টা আইনি পথে হাঁটার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা৷
শুধু তৃণমূল নয়, সিদ্দীকুল্লার আচরণে তার সংগঠন জমিয়ত উলেমা হিন্দের সদস্যরাও যারপরনাই ক্ষুব্ধ৷ তাঁরা জানান, “যেভাবে চক্রান্ত করে একটি রাজনৈতিক দলকে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে। উনি এইসব বন্ধ না করলে আগামী দিনে আমরা ওনার বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।”