কলকাতা: রাজ্যসভায় দীনেশ ত্রিবেদীর ফাঁকা আসনে জহর সরকারকে পাঠাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ জনসেবায় যুক্ত থাকায় ৪২ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর৷ জহর সরকার হলেন প্রসার ভারতীয় প্রাক্তন সিইও৷ ওঁর অভিজ্ঞতা তৃণমূল কংগ্রেসকে দেশ সেবার আরও বেশি সাহায্য করবে। এমনটাই টুইট করে দলের পক্ষ থেকে জানানো হল৷
আরও পড়ুন- গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের জেরার মুখে বিনয় মিশ্রর মা-বাবা
শনিবার দুপুরে টুইট বার্তায় তৃণমূলের তরফে জানানো হয়, রাজ্যসভায় দলের প্রার্থী হচ্ছে জহর সরকার। তিনি ৪২ বছর জনসেবায় নিযুক্ত ছিলেন৷ ফলে তিনি দেশ সেবার আরও বেশি করে নিযুক্ত হতে পারবেন৷ এই বার্তা দিয়েই জহর সরকারকে প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে৷ দলের তরফে বলা হয়, ওঁকে রাজ্যসভার জন্য মনোনীত করে আমরা আনন্দিত৷ প্রসঙ্গত, আমাদের রাজ্যে রাজ্যসভার একটি আসনে নির্বাচন হবে৷ দীনেশ ত্রিবেদীর খালি আসনে হবে এই নির্বাচন৷ বিধানসভা ভোটের আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি তৃণমূলের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপি’তে যোগ দিয়েছিলেন ত্রিবেদী৷ এর পরেই আসনটি খালি হয়ে যায়৷ আগামী ৯ অগাস্ট এই আসনে নির্বাচন হবে বলে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন৷ ২৯ জুলাই মনোনয়পত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ৷ তার আগেই দলের প্রার্থী হিসাবে জহর সরকারের নাম ঘোষণা করল তৃণমূল কংগ্রেস৷
আরও পড়ুন- দাদার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনল নাবালিকা বোন
প্রসঙ্গত, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবসর নিয়ে যখন কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ চলছিল, সেই সময় আলাপনের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন জহর সরকার৷ কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন তিনি৷ তবে সকলকে অবাক করে রাজ্যসভায় প্রার্থী করা হল তাঁকে৷ অনেকেই মনে করছিলেন যশবন্ত সিনহা বা মুকুল রায়কে এই আসনে প্রার্থী করা হবে৷ যদিও মানস ভুঁইয়ার আসনটি এখনও খালি রয়েছে৷ আগামী বছর আরও কয়েকটি আসন খালি হবে৷ এ প্রসঙ্গে জহর সরকার বলেন, প্রথমে বিশ্বাস করত পারিনি৷ কারণ আমি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নই৷ তবে এটা আমার কাছে একটা সুযোগ৷ দেশের প্রধান স্বৈরাচারী শক্তির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করছি৷ সেই লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অবকাশ দিল৷