কলকাতা: বিরোধীদের মুখে ঝামা ঘষে তৃতীয়বারের জন্য মসনদে বসে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে হ্যাট্রিক করেছেন তিনি৷ তবু তাঁর বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগে সরব গেরুয়া শিবির৷ যদিও একুশের ফল প্রকাশের পর গেরুয়া শিবিরের ওই অভিযোগকে গুরুত্ব না দিয়ে অভিষেককে দলের আরও গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এবার সেই মমতার হাত ধরেই কালীঘাটের বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার থেকে রাজনীতিতে প্রবেশ করলেন পরিবারের আরেক বধূ৷ নিজের খাসতালুক ভবানীপুরের ৭৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মমতা এবারে তাঁর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী অর্থাৎ নিজের বৌদি কাজরি বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেছেন৷ স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে জোর চর্চ্চা শুরু হয়েছে৷
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অবশ্য বলছেন, শুধু বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার নয়, কলকাতা পুরভোটকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের প্রকাশিত প্রার্থী তালিকায় এবারে পরিবার তন্ত্রের ছায়া দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর৷ ওই মহলের মতে, কে নেই সেই তালিকায়? মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের ছেলে সৌরভ ভট্টাচার্য, শশী পাঁজার মেয়ে পূজা পাঁজা, প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোন তনিমা মুখোপাধ্যায় সকলেই ঠাঁয় পেয়েছেন প্রার্থী তালিকায়৷ প্রার্থী করা হয়েছে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র পারিষদ তারক সিং-এর ছেলে অমিত সিং ও মেয়ে কৃষ্ণা সিংকে৷ এবারে টিকিট পাননি স্বর্ণকমল সাহা৷ পরিবর্তে প্রার্থী করা হয়েছে তাঁর ছেলে সন্দীপন সাহাকে৷ টিকিট পাননি শান্তনু সেন৷ তবে শিকে ছিঁড়েছে শান্তনু পত্নী কাকলির৷ স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগে সরব হয়েছে নিন্দুকেরা৷ যদিও দলের দাবি, তারুণ্যের সম্ভার ঘটাতেই এই পরিবর্তন৷
‘এক ব্যক্তি, এক নীতি’ এই সূত্রকে সামনে রেখেই দলের নয়া নীতির কথা ক’দিন আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল দলের তরফে৷ যদিও দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘অভিজ্ঞতা এবং গ্রহণযোগ্যতার নিরিখে মানুষের দাবি মেনেই ফিরহাদ সহ পুরনো ছয় বিধায়ককে এবারেও টিকিট দেওয়া হয়েছে৷ টিকিট পেয়েছেন বিধায়িকা রত্না চট্টোপাধ্যায়ও৷’’