মহম্মদবাজার: পাড়াতুত দাদা। সেই হিসাবে ‘ফদু’দাকে সমীহ করত বছর তেরোর মেয়েটি। সেই ‘ফদু’দা-ই যে তার এতবড় সর্বনাশ করবে ঘুণাক্ষরেও ভাবেনি সপ্তম শ্রেণির নির্যাতিতা। বীরভূম জেলার মহম্মদবাজার। এলাকার প্রত্যন্ত এক গ্রাম। সেই গ্রামের নাম এবার জুড়েছে ধর্ষণের অভিযোগের তালিকায়। এবার শোরগোল আরও বেশি, কারণ ধর্ষণে অভিযুক্ত আবার গ্রামের প্রভাবশালী। তৃণমূলের বুথ কমিটির সভাপতি। শ্যামরায় মারিয়া। সবাই চেনেন তাকে। জানে তার স্বভাব,আচার। কিন্তু এক্ষেত্রে নির্যাতিতা ও তার বাবা-মা রুখে দাঁড়ানোয় পুলিশ বাধ্য হয়েছে সক্রিয় হতে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে। সকাল থেকে মহম্মদবাজার থানায় বসে কেঁদেই চলেছেন নির্যাতিতার বাবা পেশায় লরির চালক। মেয়েকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে মেডিক্যাল টেস্টের জন্য। মেয়েটির বাবা বলেন,‘আমার মেয়ের সর্বনাশ যে করেছে সে যতবড়ই হোক, তার শাস্তির জন্য যা করতে হয় করব।’ তাঁর মুখ থেকেই শোনা গেছে, দিন কয়েক আগে তিনি, তার স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে রামপুরহাট গিয়েছিলেন এক আত্মীয়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে। বাড়িতে রেখে গিয়েছিলেন মেয়েকে, বৃদ্ধা ঠাকুমা এবং মেয়েটির এক বান্ধবীকে। পরদিন ফিরেও আসেন তারা। ফিরে আসার পর থেকেই মেয়ের আচার, ব্যবহার সন্দেহের জন্ম দেয়। বাবার কথায়, ‘মেয়ে কেমন যেন চুপচাপ হয়ে গিয়েছিল। খাওয়া দাওয়া, স্নান কিছুই করছিল না। কেমন যেন চুপসে ছিল। দিন কয়েক দেখার পর ওর মা চেপে ধরতেই মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে সব উগরে দেয়।’
কিশোরী ধর্ষণে অভিযুক্ত তৃণমূল বুথ সভাপতি
মহম্মদবাজার: পাড়াতুত দাদা। সেই হিসাবে ‘ফদু’দাকে সমীহ করত বছর তেরোর মেয়েটি। সেই ‘ফদু’দা-ই যে তার এতবড় সর্বনাশ করবে ঘুণাক্ষরেও ভাবেনি সপ্তম শ্রেণির নির্যাতিতা। বীরভূম জেলার মহম্মদবাজার। এলাকার প্রত্যন্ত এক গ্রাম। সেই গ্রামের নাম এবার জুড়েছে ধর্ষণের অভিযোগের তালিকায়। এবার শোরগোল আরও বেশি, কারণ ধর্ষণে অভিযুক্ত আবার গ্রামের প্রভাবশালী। তৃণমূলের বুথ কমিটির সভাপতি। শ্যামরায় মারিয়া। সবাই