ভাটপাড়া: ফের উত্তপ্ত ভাটপাড়া৷ তৃণমূল ও বিজেপির সংঘর্ষে প্রকাশ্যে চলল ৭ রাউন্ড গুলি৷ পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী। নেতাজী জন্ম জয়ন্তী উৎসব পালন করাকে কেন্দ্র করেই এদিন ধুন্ধুমারকাণ্ড ঘটে গেল ভাটপাড়ায়। চলল গুলি, ইট বৃষ্টিও।
জানা গিয়েছে, আজ ২৩ জানুয়ারি উপলক্ষে নেতাজির মূর্তিতে মালা পরানোক কেন্দ্র করে ভাটপাড়ার ৯ নম্বর ওয়ার্ড উত্তপ্ত হয়ে ওঠে৷ নেতাজির প্রতিকৃতিতে মালা পরানোকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং ও পুর প্রশাসক গোপাল রাউতকে৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশবাহিনী। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ঘটনাস্থলে কাঁদানে গ্যাসও ছুঁড়তে দেখা যায় পুলিশ কর্তাদের৷
পরিস্থিতির জন্য দু’পক্ষই পরস্পরকে দোষারোপ করেছেন৷ ভাটপাড়ার পুর প্রশাসক গোপাল রাউতের দাবি, ‘‘শান্ত ভাটপাড়াকে অশান্ত করার জন্য পরিকল্পিতভাবে অর্জুন সিংয়ের নির্দেশে তাঁর দেহরক্ষী সিআইএসএফের জওয়ান তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়৷’’ অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ, তাঁরা নেতাজির জন্মজয়ন্তি পালনের আয়োজন করেছিলেন৷ অর্জুন সিং নেতাজির প্রতিকৃতিকে মাল্যদান করতে গেলে আচমকাই তৃণমূলের কিছু লোক সেখানে জড়ো হয়ে বাধা সৃষ্টির চেষ্টা করে৷ বোমা ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ৷ তখনই সাংসদকে বাঁচাতে তাঁর দেহরক্ষীরা শূন্য কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে বলে দাবি৷
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ৷ দু’পক্ষকে হঠিয়ে দিতে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ৷ পুরো ঘটনাটি ঘটে নেতাজির প্রতিকৃতির সামনেই৷ যা দেখে সাধারণ বাসিন্দারা বলছেন, দেশকে স্বাধীন করার জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন তিনি৷ সেই তাঁর মূর্তিতে মালা পরানোকে কেন্দ্র করেই তাঁর প্রতিকৃতির সামনে ঘটল সংঘর্ষ৷ নেতাদের এই মারামারি দেখার জন্যই কি দেশ স্বাধীন করেছিলেন সুভাষ চন্দ্র বসু? প্রশ্ন তুলছে ভাটপাড়া৷