একুশে কি ফের প্রত্যাবর্তন? সমীক্ষায় বিজেপি’কে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেল তৃণমূল

একুশে কি ফের প্রত্যাবর্তন? সমীক্ষায় বিজেপি’কে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেল তৃণমূল

কলকাতা:  একুশের ভোটে বাংলায় হবে যুযুধান দুই রাজনৈতিক শিবিরের কড়া টক্কর৷ রাজনীতির আকাশে ‘খেলা হবে’ স্লোগানের আস্ফালন৷ একদিকে সোনার বাংলা গড়ার ডাক দিয়েছে  বেজেপি৷ অন্যদিকে, তৃণমূলের স্লোগান বাংলা তাঁর মেয়েকে চায়৷ এরই মধ্যে সমীক্ষা বলছে, একুশের ভোটে এগিয়ে তৃণমূল৷ 

আরও পড়ুন-  অগ্নিকাণ্ড নিয়ে শুরু রাজনীতি, গাফিলতির অভিযোগ বিজেপির, নিশানা মমতাকে

সিএনএক্স-এর দ্বিতীয় দফা জনমত সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, ১৫৪ থেকে ১৬৩টি আসন পেতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস৷ বিজেপি’র ঝুলিতে আসতে পারে ১০২ থেকে ১১২টি আসন৷ বাম – কংগ্রেস জোটে পেতে পারে ২২ থেকে ৩০টি আসন৷ ১ থেকে ৩টি আসন পেতে পারে অন্যান্যরা। প্রসঙ্গত, ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ১১৭টি কেন্দ্রে মোট ৯ হাজার ৩৬০ জনকে নিয়ে এই সমীক্ষা চালিয়েছিল সিএনএক্স- এবিপি আনন্দ ৷ আর তাতে দেখা গেল ফের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বাংলার মসনদে ফিরার ইঙ্গিত তৃণমূল কংগ্রেসের৷ 

এই ধরনের সমীক্ষার হিসেব সবসময় মেলে না৷ তবে ভোটের হাওয়া কোন দিকে বইছে, তা বুঝতে এই ধরনের জনমত সমীক্ষা করা হয়ে থাকে৷ সিএনএক্সের দ্বিতীয় সমীক্ষাটি করা হয়েছিল প্রার্থী তালিকা প্রকাশের আগে৷  মাস খানেক আগে হয়েছিল প্রথম পরীক্ষা৷ সেই সময় অবশ্য দেখা গিয়েছিল জনমত বলছে, একুশের ভোটে  ১৪৬ থেকে ১৫৬টি আসন পেতে পারে তৃণমূল৷ বিজেপি পেতে পারে ১১৩- ১২১টি আসন। বাম- কংগ্রেস ২০ থেকে ২৮ আর অন্যান্যরা ১ থেকে ৩।

আমাদের রাজ্যে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেতে হলে ১৪৮টি ভোটে জয়যুক্ত হতে হবে৷ সে দিক থেকে দেখলে সিএনএক্স-এর দুই সমীক্ষাতেই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করার সম্ভাবনা রয়েছে তৃণমূলের৷ বরং দ্বিতীয়বার সেই সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হয়েছে৷ সমীক্ষা বলছে, কমপক্ষে ১৫৪টি আসন পাবে ঘাসফুল শিবির৷ বিজেপি সেখানে পেতে পারে ১১৩টি আসন৷ তবে দুটি সমীক্ষাতেই ভোট শতাংশে ৪২ এ দাঁড়িয়ে রয়েছে তৃণমূল৷ অন্যদিকে ইঙ্গিত, বিজেপির ভোট শতাংশ ৩৭ থেকে কমে ৩৪ শতাংশ হতে পারে৷ 

আরও পড়ুন – মানচিত্র নিয়ে মমতার আনা অভিযোগ কার্যত স্বীকার করে নিল রেল

জনপ্রিয়তার মাপকাঠিতে কিন্তু এখনও এক নম্বরেই রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তবে তৃণমূলের দুর্নীতির কথা বলেছেন ৫৪ শতাংশ মানুষ৷ এবং পরিবারতন্ত্রের খোঁচা দিয়েছে ৬৯ শতাংশ মানুষ৷ সাম্প্রদায়িকতার কথা বলেছেন ৪০ শতাংশ৷ তবে বিজেপির ক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িকতার দিকে আঙুল তুলেছেন  ৬০ শতাংশ মানুষ, দুর্নীতির কথা বলেছেন  ৪১ শতাংশ আর পরিবারতন্ত্রের দিকে আঙুল তুলেছে ৩১ শতাংশ মানুষ৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *