কলকাতা: ভোট গণনা শুরু হতেই এগিয়ে গেল তৃণমূল৷ পোস্টাল ব্যালট গণনার শুরু থেকেই ১৯টি ওয়ার্ডে এগিয়ে গিয়েছে ঘাসফুল শিবির৷ ২ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে সাংসদ শান্তনু সেনের স্ত্রী তথা তৃণমূল প্রার্থী কাকলি সেন। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে মন্ত্রী শশী পাঁজার মেয়ে পূজা পাঁজা৷ ১১ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে অতীন ঘোষ৷ ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী অনিন্দ রাউত। ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে গিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী পরেশ পাল৷ ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে তৃণমূলের প্রার্থী শান্তিরঞ্জন কুণ্ডু। ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে রয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেট প্রশাসক তথা তৃণমূলের প্রার্থী বিশ্বরূপ দে। ৮৫ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে দেবাশিস কুমার৷ ৮৮ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে মালা রায়৷ সময় যত এগোবে তত স্পষ্ট হবে কার দখলে থাকবে কলকাতা৷
এদিকে এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘মানুষ ঠিক করেছে, কী হবে৷ আমি তো ঠিক করিনি বিজেপি কটা জিতবে বা সিপিএম কটা জিতবে।’ তাঁর কথায়, ‘কোভিড রয়েছে ঠিক কথাই, তা বলে একটু নাচানাচি হবে না, তা তো হয় না!’ বিরোধীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘‘মানুষের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই৷ মানুষ বিশ্বাস করে না৷ তাই বলছে ভোট হল না৷ মানুষকে অপমান করবে কেন? মানুষ ভোট দিয়েছে৷ সেই রায় মাথা পেতে নেবে৷ আমরাও ৩৪ বছর বিরোধী রাজনীতি করেছি৷ যখন মানুষ রায় দিয়েছে মাথা পেতে নিয়েছি৷ কখনও বলিনি যে ভোট হয়নি৷ ইভিএম নিয়ে সায়েন্টেফিক রিগিং নিয়ে অভিযোগ ছিল৷ কিন্তু মানুষের রায় অস্বীকার করিনি৷ এটা কেমন নোংরামি? কলকাতায় কয়েক লক্ষ মানুষ ভোট দিয়েছে৷’’ তৃণমূল ১৩০-এর উপর আসন পাবে বলে আশাবাদী ফিরহাদ৷ তাঁর কথায়, ভোট পরবর্তী হিংসার কোনও প্রশ্নই নেই৷
রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে হচ্ছে বরো ১ এবং ২ নম্বর বরোর গণনা। ৩, ৪, ৫ এবং ৬ নম্বর বরোর গণনা হচ্ছে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। ৭ এবং ১২ নম্বর বরোর গণনা হচ্ছে গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে। ৮-এর গণনা হবে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ টিচার্স ট্রেনিংয়ে। হেস্টিংসের ইনস্টিটিউট অফ ফিজিক্যাল এডুকেশন ফর ওম্যানে হবে বরো ৯ নম্বর বরোর গণনা। যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুলে হবে বরো ১০-এর ভোটগণনা। ১১ নম্বর বরোর গণনা হবে যোধপুর পার্ক গার্লস স্কুলে। বরো ১৩-এর ভোটগণনা বরিষা হাইস্কুলে, ১৪-র ভোটগণনা হবে বিবেকানন্দ স্কুলে।১৫ নম্বর বরোর গণনা হবে সিস্টার নিবেদিতা গর্ভমেন্ট কলেজ এফ গার্লসে এবং ১৬ নম্বর বরোর ভোটগণনা হবে ব্রতচারী বিদ্যাশ্রমে।