রামদা, বল্লম নিয়ে বালুরঘাট থানা ঘেরাও আদিবাসী সমন্বয় সমিতির

রামদা, বল্লম নিয়ে বালুরঘাট থানা ঘেরাও আদিবাসী সমন্বয় সমিতির

বালুরঘাট: আদিবাসী অটোচালককে হত্যার জের। অস্ত্র নিয়ে বালুরঘাট থনায় বিক্ষোভ দেখালো আদিবাসী সমন্বয় সমিতি। পাশাপাশি থানা ঘেরাও করেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ। বালুরঘাট থানার সামনেই এক অটোস্ট্যান্ডে যাত্রী তোলা নিয়ে অটোচালকদের মধ্যে প্রতিদিনই বচসা লেগে থাকে। এরকমই যাত্রী তোলা নিয়ে অপর এক অটোচালকের সঙ্গে বৃহস্পতিবার বচসা বাধে কালীচরণ কাছুয়া নামে এক আদিবাসী অটোচালকের।

যাত্রী তোলা নিয়ে তুমুল কথা কাটাকাটি হয় তাদের। এরপর তা হাতাহাতিতে গড়ায়। অভিযোগ মাটিতে ফেলে কালীচরণকে একের পর এক লাথি মারেন মিলন বর্মন নামের ওই অটোচালক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কালীচরণকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
 

কালীচরণের মৃত্যুর পর ব্যাপক গণ্ডগোল বাধে বালুরঘাটে। মৃত্যুর জেরে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন এলাকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ। বালুরঘাট থানার নাকের ডগায় এমন ঘটনা কীভাবে ঘটলো তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তারা। কেন দোষী এখনও অধরা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। উঠেছে পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ।

ঘটনার প্রতিবাদে রামদা, বল্লম, কাটারিসহ বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তারা থানা এলাকায় বিক্ষোভ দেখান। মুহূর্তে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। দোষীর শাস্তির দাবিতে স্লোগান তুলতে থাকে বিক্ষোভকারীরা। বেধে যায় ব্যাপক গণ্ডগোল। ক্ষুব্ধ আদিবাসীদের প্রতিবাদ ঘিরে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়ায়। রাস্তা আটকে প্রতিবাদের জেরে ব্যাহত হয় যান চলাচল। গাড়ি আটকে জ্যাম হয়ে যায় মুহুর্তে।

এমনকি ভয় পেয়ে দোকানপাট বন্ধ করে দেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। পথচারীরা বন্ধ দোকানে সাময়িকভাবে আশ্রয় নেন। পুলিশ উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা করে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে আদিবাসীদের ক্ষোভ শান্ত হয়। দোষীকে ধরার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ কর্মসূচি তুলে নেওয়া হয়। ধীরে ধীরে রাস্তার জ্যাম সরে ফের যানবাহন চালু হয়। ঘটনায় বিস্তারিত তদন্ত শুরু হযেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে প্রকাশ্যে এভাবে একজন মানুষকে মেরে ফেলায় প্রশ্ন উঠেছে নিরাপত্তা নিয়ে। তদন্তের আশ্বাস দিলেও পুলিশের সক্রিয়তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে আমজনতার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 5 =