তরুণের রহস্যমৃত্যুর নেপথ্যে ত্রিকোণ প্রেমের শঙ্কা!

কলকাতা: প্রথমে মনে করা হয়েছিল দুর্ঘটনা৷ একই দাবি জানিয়ে ছিল পুলিশ৷ কিন্তু গাড়ির সামনের সিটে পা রাখার অংশে বুলেট হেড মিলতেই নাটকীয় মোড় নিল ঘটনায়৷ পুলিশ এখনও ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলে দাবি না করলেও মৃতের পরিবারের লোকজন ত্রিকোণ প্রেম জনিত খুনের তথ্য সামনে এনেছে৷ ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত দাবি করেছে মৃত তরুণের পরিমাণ৷ ইতিমধ্যেই থানায় খুনের মামলা

তরুণের রহস্যমৃত্যুর নেপথ্যে ত্রিকোণ প্রেমের শঙ্কা!

কলকাতা: প্রথমে মনে করা হয়েছিল দুর্ঘটনা৷ একই দাবি জানিয়ে ছিল পুলিশ৷ কিন্তু গাড়ির সামনের সিটে পা রাখার অংশে বুলেট হেড মিলতেই নাটকীয় মোড় নিল ঘটনায়৷ পুলিশ এখনও ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলে দাবি না করলেও মৃতের পরিবারের লোকজন ত্রিকোণ প্রেম জনিত খুনের তথ্য সামনে এনেছে৷ ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত দাবি করেছে মৃত তরুণের পরিমাণ৷ ইতিমধ্যেই থানায় খুনের মামলা দায়ের করেছে পরিবার৷

ঘটনার সূত্রপাত নবমীর রাতে৷ ওই দিন বান্ধবীকে নিয়ে বাড়িতে নামিয়ে ফিরছিলেন দেবাঞ্জন দাস নামের বছর কুড়ির ওই তরুণ৷ একটি নামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিজনেস ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়া দেবাঞ্জন দমদমের ৪ নম্বর গেট এলাকার বাসিন্দা৷ বাবা অরুণ দাস পেশায় ব্যবসায়ী৷ পুলিশ জানিয়েছে, নবমীর রাতে তিনটে নাগাদ দমদমের নিজের গাড়ি মধ্যে তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়৷ ওই এলাকার কয়েকজন যুবক বাড়িতে খবর দেন৷ তদন্তে নেমে পুলিশ জানায়, গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথম একটি পোস্টার ধাক্কা মারে৷ পরে ধাক্কা মারে পাঁচিলে৷ ওই ধাক্কায় প্রাণ দিয়েছে দেবাঞ্জনের৷

পুলিশ দুর্ঘটনার তথ্য খারিজ করে দিয়েছে৷ তবে, পরিবারের দাবি, দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি বিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি৷ তাহলে দুর্ঘটনার তথ্য দাঁড়াচ্ছে কী করে? এছাড়াও গাড়ির মধ্যে থাকা সামনের সিটে বুলেটের খোঁজ পাওয়া গেল কী করে? রহস্য ঘনীভূত হয়েছে সেদিন৷ বিস্তারিত ঘটনা জানার পর ওই রাতে সল্টলেক সেক্টর ফাইভে রেস্তোরাঁয় দেবাঞ্জন ও তার বান্ধবী খেতে গিয়েছিলেন৷

পরিবারের বক্তব্য, ওই তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় দেবাঞ্জনের৷ ওই তরুণীকে বাড়িতে নামিয়ে ফেরার পথে দু’জনের মধ্যে মোবাইলে কথা হয়৷ কললিস্ট ঘেঁটে দেখা গিয়েছে, সেই রাতে একাধিকবার দু’জনের মধ্যে কথা হয়েছে৷ পরিবারের অভিযোগ, ওই তরুণের সঙ্গে আরও এক যুবকের সম্পর্ক ছিল৷ সেই সম্পর্ক ভেঙে দেবাঞ্জনের সঙ্গে নতুন সম্পর্কে জড়ান ওই তরুণী৷ এই নিয়ে তিন জনের মধ্যে একাধিক বাকবিতণ্ডা হয়েছিল৷ ওই যুবক নাকি কিছুদিন আগেই ফোন করে দেবাঞ্জনকে হুমকি দিয়েছিল বলে অভিযোগ৷ পরিবারের অভিযোগ, খুব কাছ থেকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে দেবাঞ্জনকে৷ সেই কারণে বুলেটের অংশ দেহ ফুঁড়ে গাড়ির সিটের সামনে পড়ে ছিল৷ যদিও পুলিশ এই সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 + four =