কলকাতা: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। ফলে দেশজুড়ে কাজ বন্ধ রয়েছে বহু বেসরকারি সংস্থা ও কলকারখানায়। কর্মীদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে স্কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি যৌথভাবে এই ধরণের সমস্ত ছোট-বড় সংস্থাগুলির জন্য নির্দেশিকাও জারি করেছে। নির্দেশিকা অনুযায়ী, এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের কোনও বেসরকারি সংস্থা, কারখানা ও সংস্থার স্থায়ী বা অস্থায়ী কর্মীদের মজুরি কাটা চলবে না এমনকী, মজুরি কম দেওয়াও যাবে না পাশাপাশি লক ডাউন চলাকালীন সমস্ত সংস্থার কর্মীদের সবেতনে ছুটি দিতে হবে এবং বেতন সময় মত দিতে হবে। কিন্তু সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করেই রাজ্যগুলিতে কর্মী ছাঁটাই ও বেতন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বহু বেসরকারি সংস্থা। এরাজ্যেও পরিস্থিতি একইরকম।
দু’মাস ধরে বেতন না হওয়ায় অবশেষে সিটু-র দ্বারস্থ হলেন মোটর ভেহিকেলসের সেলস কর্মীরা। শ্রী হোন্ডা, গজরাজ হুন্ডাই এবং ভান্ডারি এই তিনটি সংস্থার কমপক্ষে ৮০০ কর্মী মার্চ মাসের বেতন পাননি। এর আগে ডিসেম্বর মাস থেকেই ইনসেন্টিভ দেওয়া বন্ধ ছিল। ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের টি.এ ডি এ কিছুই হাতে পাননি তাঁরা। সংস্থার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকেও কোনও সমাধান মেলেনি। কর্মীদের এই বঞ্চনার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে এগিয়ে এসেছে সিটু। ইতিমধ্যেই বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে লেবার কমিশনারকে জানানো হয়েছে সিটু-র পক্ষ থেকে। কর্মীদের বকেয়া বেতন দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার জন্য লেবার কমিশনারের হস্তক্ষেপের আবেদনও জানানো হয়েছে সংগঠনের তরফে।