মমতা সরকারের ট্রান্সফর্মার বিকল হয়ে গিয়েছে: অমিত

ইংরেজবাজার: ১০২ জ্বর নিয়ে বাংলায় এসে তৃণমূল সরকারকে উপড়ে ফেলার ডাক দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ৷ মালদহের জনসভা মঞ্চ থেকে অমিত শাহের মন্তব্য, ‘‘বাংলায় ক্ষমতায় এলে আমরা সিন্ডিকেট ট্যাক্স ছাড় দেব৷ আমি কথা দিচ্ছি৷ আপনাদের আর সিন্ডিকেট ট্যাক্স দিতে হবে৷ আমরা ক্ষমতা এলে বাংলাকে সোনায় মুড়ে ফেলব৷’’ বলেন, ‘‘মমতাকে শিক্ষা দিতে হলে, লোকসভা নির্বাচনে

মমতা সরকারের ট্রান্সফর্মার বিকল হয়ে গিয়েছে: অমিত

ইংরেজবাজার: ১০২ জ্বর নিয়ে বাংলায় এসে তৃণমূল সরকারকে উপড়ে ফেলার ডাক দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ৷ মালদহের জনসভা মঞ্চ থেকে অমিত শাহের মন্তব্য, ‘‘বাংলায় ক্ষমতায় এলে আমরা সিন্ডিকেট ট্যাক্স ছাড় দেব৷ আমি কথা দিচ্ছি৷ আপনাদের আর সিন্ডিকেট ট্যাক্স দিতে হবে৷ আমরা ক্ষমতা এলে বাংলাকে সোনায় মুড়ে ফেলব৷’’ বলেন, ‘‘মমতাকে শিক্ষা দিতে হলে, লোকসভা নির্বাচনে যোগ্য জবাব দিতে হবে৷’’ মহাজোটের প্রসঙ্গ তুলে অমিতের মন্তব্য, ‘‘কীসের মহাজোট? যেখানে ভারত মাতার জয়েক ধনি ওঠে না, সেখানে বিরোধিরা বলছেন, দেশ বাঁচাবেন?’’ অমিতের মন্তব্য, ‘‘ব্রিগেডের মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লাইন লেগে গিয়েছে৷ এক মঞ্চে ন’জন প্রধানমন্ত্রী? কিন্তু, আমাদের একজনই মুখ, মোদি৷’’  এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বলেন, ‘‘মমতা সরকারের ট্রান্সফর্মার বিকল হয়ে গিয়েছে৷ ট্রান্সফর্মার বিকল হয়ে গেলে আপনি কী করবেন? ফেলে দেবেন৷ তাহলে, তাই করুন৷’’

তাঁর মন্তব্য, ‘‘আজ আমি তৃণমূল সরকারের গণেশ উল্টে দিতে এসেছি৷’’ এদিন বাম সরকারের সঙ্গে বর্তামান সরকারের তুলনা টানেন অমিত শাহ৷ বলেন, ‘‘বাম সরকার তাও কিছুটা ভাল ছিল, কিন্তু, তৃণমূল সরকার আরও খারাপ৷’’ কেন্দ্র-রাজ্যের সংঘাতের প্রসঙ্গ তুলে ধরেও মমতা সরকারকে আক্রমণ করেন অমিত শাহ৷ মমতাকে কত টাকা দিয়েছে কেন্দ্র? বিজেপির জনসভা মঞ্চ থেকে ঘোষণা করেন অমিত শাহ৷

এদিন বলেন, ‘‘ইউপিএ আমলে কেন্দ্রের তরফে ১ লক্ষ ৩২ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু, জানেন নরেন্দ্র মোদির সরকার বাংলাকে কত টাকা দিয়েছে? গত সাড়ে চার বছরে ৩ হাজার ৫৫ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু, তার পরও দিদির টাকা কম পড়ে যায়৷ কিন্তু, কেন টাকা কম পড়ে জানেন? দিদির নেতারাই সেই টাকা খেয়ে নেয়৷’’

বাংলার গণতন্ত্র আক্রান্ত বলে অভিযোগ তোলেন তিনি৷ বলেন, ‘‘আজ আমাদের সভা করতে দেওয়া হচ্ছে না৷ মমতা দিদি বিজেপিকে ভয় পেয়ে গিয়েছে৷ তাই আমাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে৷’’ পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতে মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি৷ গণনাকেন্দ্রেও ভোট চুরি হচ্ছে৷ এটাই কী বাংলার গণতন্ত্র?’’ এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, ‘‘দেশভক্তি কাকে বলে আমাদের দেখে শিখুন৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine + 5 =