বনধের দ্বিতীয় দিনে বাঘাযতীনে পথ অবরোধ ধর্মঘটীদের, পরিবহণে বিক্ষিপ্ত প্রভাব

বনধের দ্বিতীয় দিনে বাঘাযতীনে পথ অবরোধ ধর্মঘটীদের, পরিবহণে বিক্ষিপ্ত প্রভাব

কলকাতা: বামপন্থী শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকা দু’দিনের ধর্মঘটের আজ শেষ দিন৷ গতকাল সকাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দফায় দফায় আশান্তি হয়েছে৷ এদিনও সকাল থেকেও বনধ সফল করতে রাস্তায় নেমে পড়েন বাম কর্মী সমর্থকরা। কলকাতার পথে বনধের সমর্থনে মিছিল করেন তাঁরা। দক্ষিণ কলকাতার বাঘাযতীন মোড়ে রাস্তায় বসে পড়ে পথ অবরোধ করেন বনধ সমর্থনকারীরা।

আরও পড়ুন- ভাদু টাকার ভাগ দিত অনুব্রতকে, অংশীদার আনারুল, আইসি! বিস্ফোরক দাবি

সোমবার বনধ ঘিরে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল৷ বিভিন্ন জায়গায় রেল অবরোধ করা হয়৷ বন্ধ করে দেওয়া হয় পরিবহণ৷ জায়গায় জায়গায় ধর্মঘটীরা মিছিল করে। যদিও সারা দিনে বনধের প্রভাব কতটা পড়েছে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বিরোধী শিবিরেই। মঙ্গলবার সিপিএম নেতা সুদীপ সেনগুপ্তর নেতৃত্বে বাঘাযতীনে একটি মিছিল করেন ধর্মঘটীরা। সুদীপ সেনগুপ্ত বলেন, “৪৮ ঘণ্টা বনধ ডাকা হয়েছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি, শিক্ষা, শিল্পের বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আমরা পথে নেমেছি। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার বিপন্ন। গত দু’ আড়াই মাস ধরেই পথে আছি আমরা।” 

অন্যদিকে, আজ আলিপুরদুয়ারের চৌপথিতে পথ অবরোধ করেন বনধ সমর্থকরা। বনধের জেরে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল৷  অবরোধের জেরে আটকে পড়ে বহু গাড়ি। নাকাল হতে হয় সাধারণ মানুষকে৷ বনধের প্রভাব পড়েছে জলপাইগুড়ির মালবাজার ও ধূপগুড়ি এলাকায়৷ বিক্ষিপ্ত প্রভাব পড়েছে মেদিনীপুর জেলার দাসপুরের সুলতান নগরেও৷ রাজ্য সড়কে গাড়ি আটকানো হয়৷ যার জেরে তীব্র যানজট তৈরি হয়৷ এদিকে, বনধের জেরে বাঁকুড়াতে নামতে পারেনি বাস৷ ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বাম সমর্থকরা৷