‘শর্ত’ পূরণ করতে অসফল, দীঘা থেকে শয়ে শয়ে ঘরে ফিরছেন হতাশ পর্যটকরা

‘শর্ত’ পূরণ করতে অসফল, দীঘা থেকে শয়ে শয়ে ঘরে ফিরছেন হতাশ পর্যটকরা

দীঘা: করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই দীঘা প্রশাসন একাধিক শর্ত লাগু করেছে পর্যটকদের জন্য। মূলত তিনটি শর্ত দেওয়া হয়েছে যা পূরণ না করতে পারলে দীঘায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। এই কারণেই এবার শতাধিক পর্যটক হতাশ হয়ে দীঘা ঢুকতে না পেরে বাড়ি ফিরছেন। এদের মধ্যে কেউই তিনটি শর্তের একটিও পূরণ করতে পারেননি। এই কারণেই চরম হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন প্রচুর পর্যটক।

পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি মহকুমা প্রশাসক ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, একমাত্র দুটি কোভিড ভ্যাকসিন পাওয়া পর্যটকরাই দীঘা, মন্দারমনি অথবা তাজপুরের মত সমুদ্রসৈকতে ঢুকতে পারবেন। দুটি ভ্যাকসিন দেওয়া থাকলেও ঘুরতে আসার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে রাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করাতে হবে। সেটা না হলেও rt-pcr পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট রাখতে হবে তাদের সঙ্গে। এই তিনটি শর্তের একটিও পূরণ না হলে কাউকে সৈকত নগরীতে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। আর ঠিক এই কারণেই শতাধিক পর্যটক এখন সমস্যার মুখে পড়েছেন যারা দীঘায় ঘুরতে গিয়ে ঢুকতে পারছেন না বা হোটেল এবং কটেজে থাকতে পারছেন না। প্রশাসনের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, এই নিয়ম কোনোভাবেই অমান্য করা যাবে না কারণ জেলার করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হবে। তাই যাদের তিনটি শর্তের কমপক্ষে একটিও পূরণ হবে না, তাদের কোনভাবেই দীঘায় ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন- উচ্চ প্রাথমিক: শুরু হচ্ছে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া, গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা ব্রাত্যের

নির্দেশ আসার পর থেকে প্রত্যেকদিন নাকা তল্লাশি চালানো হচ্ছে দীঘা, মন্দারমনি, তাজপুর, শঙ্করপুর সহ সর্বত্র। হুঁশিয়ারি দিয়ে এমনও বলা হয়েছে যে যারা আইন মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে। তবে পর্যটকদের একাংশ কোন অভিযোগ করছে। তাদের বক্তব্য প্রশাসনের তরফে যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে তা অস্পষ্ট। নির্দেশিকায় হোটেল বা কটেজে প্রবেশের ক্ষেত্রে তিন শর্ত পূরণের কথা বলা হয়েছে কিন্তু ঘুরে বেড়ানোর ক্ষেত্রে কোন শর্ত দেওয়া হয়নি বলে জানাচ্ছেন তারা। কিন্তু এখন দাবি করা হচ্ছে, তিনটি শর্তের একটিও পূরণ না হলে দীঘাতেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে এইসব পর্যটকদের মধ্যে এমন ও পর্যটক রয়েছেন যারা তিনটি শর্ত অন্তত একটি পূর্ণ করেছেন। তাদের কারুর কাছে রয়েছে একটি বা দুটি টিকার সার্টিফিকেট, অথবা rt-pcr টেস্টের রিপোর্ট। তাই তাদের ক্ষেত্রে কোন রকম সমস্যা হচ্ছে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *