দিঘা: চোখরাঙাচ্ছে ‘অশনি’। শক্তি বাড়িয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। গতি বাড়িয়ে ঘণ্টায় ১৪ কিলোমিটার বেগে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আম্পান, যশের অভিজ্ঞতা থেকে অশনি নিয়ে আগাম সতর্ক প্রশাসন৷ কিন্তু প্রশাসনের বরংবার সতর্কতা সত্ত্বেও সৈকত শহরে নেমেছে পর্যটকের ঢল৷ রবিবার ছুটির দিনে দিঘা, মন্দারমনির সাগরে দেখা গিয়েছে জনজোয়ার৷ সমুদ্রে স্নান করতে নেমে জলে তলিয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু তার পরেও সতর্ক হননি পর্যটকরা।
আরও পড়ুন- শক্তি বাড়াচ্ছে অশনি, সোম থেকেই দুর্যোগ শুরু বাংলায়
রবিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দিঘায় অবশ্য ‘অশনি’-র কোনও প্রভাব পড়েনি। আকাশে রোদ ঝলমল করেছে। হাঁসফাঁস করা গরমে শরীর জুড়োতে সকাল থেকেই সমুদ্র স্নানে নেমে পড়েন পর্যটকেরা। ছুটির দিন হওয়ায় রবিবার দিঘায় ছিল থিকথিক করা ভিড়। পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে রীতিমত হিমশিম খেতে হয় পুলিশকর্মীদের৷ অশনি’র চোখ রাঙানির মাঝেই অতিরিক্ত ভিড়ের জেরে সমুদ্রে যাতে বড়সড় কোনও দুঘর্টনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে তৎপর জেলা প্রশাসন। সাগর পাড়ে বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থাও করা হয়েছে৷
ঘূর্ণাবর্ত ‘অশনি’র কারণে রবিবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া বদলে যাবে বলে জানিয়েছিল হাওয়া অফিস। সোমবার সকাল থেকেই দেখা গেল আকাশের মুখ ভার৷ কোনও কোনও জায়গায় বৃষ্টিও শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি থাকবে বলে পূর্বাভাস৷ সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া৷ আগে থেকেই সতর্ক বার্তা দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। কিন্তু সমস্ত সতর্কবার্তাকে উপেক্ষা করেই দিঘার সৈকতে পর্যটকদের ঢল৷
রবিবার সপ্তাহান্তে দিঘায় ছিল উপচে পড়া ভিড়। তা ছাড়া গত কয়েকদিন ধরে ইদ উপলক্ষেও ভিড় বাড়ছিল। এমনকী সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়ে ঘূর্ণাবর্ত চাক্ষুষ করতেও ভিড় জমিয়েছেন বহু কৌতূহলী মানুষ৷ যদিও রবিবার সকাল থেকে দিঘায় ছিল রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়া। কিন্তু বিপদ এড়াতে তৎপর দিঘা প্রশাসন। সমানে চলেছে মাইকিং৷ পরপর দু’দিন সমুদ্র স্নানে নেমে পর্যটকদের তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা মাথায় রেখও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে দিঘার সমুদ্র সৈকতে। পর্যটকেরা যাতে সমুদ্র নেমে বিপদসীমা অতিক্রম না করেন, সে ব্যাপারে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে নুলিয়া ও পুলিশকর্মীরা।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>