কলকাতা ও দিঘা: যেন এই দিনটার অপেক্ষাতেই ছিলেন সকলে৷ লোকাল ট্রেন চালু হতেই দিঘার সমুদ্র সৈকত উপচে পড়ছে পর্যটকদের ভিড়ে৷ পর্যটকদের একাংশের বক্তব্য, আবার কবে না জানি লকডাউন ঘোষণা হয়ে যাবে, কে জানে৷ তাই লোকাল ট্রেন চালু হতেই চলে এলাম৷ তারই জেরে রবিবার থেকেই ভিড় বাড়ছে দিঘা, মন্দারমনি, তাজপুরের মতো সমুদ্র সৈকতে৷
স্বভাবতই খুশির হাওয়া দিঘার হোটেল ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের মধ্যে৷ হোটেল সহ অন্যান্য ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোভিড সংক্রমণ এবং লক ডাউনের জেরে দীর্ঘ দিন ধরেই মার খাচ্ছিল পর্যটন শিল্প৷ তবে দেরিতে হলেও ট্রেন পরিষেবা চালু হয়েছে৷ এবং শুরু থেকেই পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়৷ এমনটা চললে, সত্যি আমাদের আর অভাব হবে না৷
এদিন সকাল থেকেই পর্যটক শহরের সি-বিচে দেখা গিয়েছে শুধুই কালো মাথার ভিড়৷ সকাল থেকে নাগাড়ে চলল সমুদ্র-স্নানও৷ তবে মাস্ক ছাড়া কেউ যাতে বিচে বা প্রকাশ্যে ঘুরতে না পারেন, সেজন্য রয়েছে কড়া পুলিশি ধরপাকড়ও৷ গত সেপ্টেম্বরে হাওড়া দিঘা স্পেশাল ট্রেন চালু হয়েছিল৷ লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হওয়ার পর রবিবার থেকে শুরু হয়েছে দিঘা পাঁশকুড়া ও দিঘা মেচেদা লোকাল৷ তবে দিঘা-সাঁতরাগাছি এখনও চালু হয়নি৷ কবে থেকে চালু হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ তবে লোকাল ট্রেন চালু হওয়ায় খুশীর রেশ পর্যটকদের অন্দরে৷ তাঁরা বলছেন, লোকাল ট্রেন চালু হওয়ায় একদিকে যেমন দিঘা সফরের জন্য খরচ কমল তেমনই এখন থেকে ইচ্ছে মতোই সৈকত নগরী ঢুঁ মেরে আসাটাও অনেকখানি সহজ হয়ে গেল৷