কলকাতা: ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল৷ এবার ফের রাজ্যজুড়ে বিশেষ বিশেষ এলাকায় কার্যকর হচ্ছে লকডাউ বিধি৷ এই মর্মে জারি হয়েছে নির্দেশিকা৷
রাজ্যে সমস্ত কনটেনমেন্ট জোনে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে৷ আগামী বৃহস্পতিবার থেকে সমস্ত কনটেনমেন্টে লকডাউন জারি থাকবে৷ আগামী ৯ জুলাই থেকে সমস্ত কনটেনমেন্ট জোনে এই বিধি কড়া ভাবে কার্যকর হবে৷ ৯ জুলাই বিকেল পাঁচটা থেকে চালু হবে এই বিধি৷ রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় করোনা সংক্রমণ রুখতে এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে৷ নবান্নের তরফে জারি করা নির্দেশিকা জেলাশাসকদের পাঠিয়েছেন অতিরিক্ত মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ব্রড কন্টেইনমেন্ট জোনে সব সরকারি ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে৷ জরুরি ছাড়া সমস্ত কাজ বন্ধ থাকবে৷ যান চলাচল থেকে শুরু করে জমায়েত, দোকান-বাজার লকডাউনের আওতায় মধ্যে পড়বে৷
করোনা প্রভাবিত এলাকা দু’টি ভাগে চিহ্নিত করছে রাজ্য সরকার৷ এ মানে অ্যাফেক্টেড জোন, বি অর্থাৎ বাফার জোন, সি অর্থ ক্লিয়ার জোন৷ অতিরিক্ত মুখ্যসচিব চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছেন, প্রথম দুই জোন, অ্যাফেক্টেড জোন ও বাফার জোন মিলিয়ে তৈরি হবে ব্রড কন্টেইনমেন্ট জোন৷ ওই এলাকায় কঠোরভাবে লকডাউন বলবৎ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ ফলে কনটেনমেন্ট জোনের ব্যাক্তি আরও বাড়ছে৷ কনটেনমেন্ট জোনে জরুরি পরিষেবা ছাড়া সমস্ত পরিষেবা বন্ধ থাকছে৷ সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে৷
নবান্নের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, আগামী ৯ জুলাই থেকে কনটেনমেন্ট জোনে মিলবে বিশেষ কোনও ছাড়৷ শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা মিলবে৷ বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে শর্তসেক্ষেপে ছাড় মিলবে৷ কোনও রমক যান চলাচল করবে না৷ মিলবে না কোনও পরিবহণ সুবিধা৷ অফিস-আদালত বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে৷
এখন থেকে বাফার জোনও চলে আসবে কনটেনমেন্ট জোনের আওতায়৷ বাফার ও কনটেনমেন্ট জোনে কড়া নজরদারি চালানো হবে৷ সমস্ত সরকারি অফিস বন্ধ থাকবে৷ পুলিশ এলাকায় এলাকায় নজরদারি চালাবে৷ স্থানীয় প্রশাসন নির্দিষ্ট করে দেবে, কোথায় কোন এলাকায় কড়াকড়ি করা হবে৷ সমস্ত বাজার, দোকান বন্ধ থাকবে৷ অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া সমস্ত দোকান বন্ধ থাকবে৷ সমস্ত জামায়াতের উপর রাখা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা৷ মুহূর্তে মুহূর্তে পুলিশ নজরদারি চালাবে৷ খুব জরুরি প্রয়োজনে মাস্ক ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক বলেও ঘোষণা করা হয়েছে৷