কলকাতা: বার্তা দিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। রবিবার রাত ৯ টার সময় আলো নিভিয়ে দিয়া বা মোমবাতি জ্বালিয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে বললেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আবেদনে সারা দিতে বলেছেন বাংলার ব্লকবাস্টার নায়িকা। তবে আকর্ষণীয় বিষয় এই যে, হঠাৎ তিনি এটি কেন করলেন? তার তৈরি করা ভিডিও রাজ্য বিজেপির মিডিয়া সেল সাংবাদিকের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। এই সব নিয়েই তৈরি হয়েছে জল্পনা।
লোকসভা নির্বাচনের পর জল্পনা তুঙ্গে ওঠে ঋতুপর্ণাকে নিয়ে। অভিনেত্রী নাকি গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে ইচ্ছুক তা কি বলাবলি শুরু হয়ে যায়। ইতিমধ্যেই লোকসভা নির্বাচনের আগে ও পরে টলিউডের কিছু অভিনেত্রী-অভিনেতা বিজেপিতে যোগ দেন। সেই সময় নাম উঠে আসে ঋতুপর্ণার। কিন্তু, এই রকম কোনও ঘটনায় ঘটেনি। সারা দেশে কোভিড ১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অভিনেতা থেকে খেলোয়াড় সকলেই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। সেক্ষেত্রে, ঋতুপর্ণার এই বার্তা পৃথক নয়।
কিন্তু, বাংলার প্রথম সারির অভিনেতা অভিনেত্রীর ঋতুপর্ণার মতো একই কাজ করেনি। অভিনেত্রী, পরিচালক, লেখক অপর্ণা সেন তো সাফ বলেছেন, এটি দেশ অন্ধকার করার মত সময় নয়। ঋতুপর্ণার মত প্রথম সারির অভিনেত্রীর মোদির প্রতি প্রকাশ্য সমর্থন (অবশ্যই কোভিড ১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে) কে অনেকেই অন্য চোখে দেখতে চাইছেন। সব থেকে বড় কথা ঋতুপর্ণার বার্তা বিজেপি স্বয়ং প্রচারে আনার চেষ্টা করেছে।
২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে একটি বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে দেখা যায় ঋতুপর্ণাকে। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি যুব মোর্চার সর্বভারতীয় নেতা সৌরভ সিকদার। সেদিন অবশ্য তিনি বিজেপিতে যোগদানের বিষয়টি উড়িয়ে দেন। বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা রাজ্যের অন্যান্য মন্ত্রীদের সঙ্গে তার সখ্যতা রয়েছে। আর আগেও ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে ঋতুপর্ণা বিজেপির প্রার্থী হচ্ছেন বলে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। অনেকে এও বলতে শুরু করেন তিনিই নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন। যদিও, জল্পনা জল্পনাই থেকে যায়।