কলকাতা: টালিগঞ্জের কলাকুশলীদের পাশে বিজেপি। আসন্ন বিধানসভা ভোটের প্রচারে টলিউডের টেকনিশিয়ানদের সঙ্গে নিয়ে এবার পথে নামল পদ্ম ব্রিগেড। মঙ্গলবার টালিগঞ্জের পর্দার পিছনে থাকা কলাকুশলীদের কাজের দাবিতে টেকনিশিয়ান স্টুডিও থেকে দাসানি স্টুডিও পর্যন্ত পদযাত্রা করল গেরুয়া শিবির। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সম্পাদক সংঘমিত্রা চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অভিনেতা অরিন্দম হালদার ওরফে লামা।
মিছিল শুরু হওয়ার আগে এদিন টালিগঞ্জ টেকনিশিয়ান স্টুডিওর গেটের সামনে একটি সভা করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। সেখানে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে রুপোলি পর্দার পিছনেও দেদার দুর্নীতির অভিযোগ তোলে গেরুয়া শিবির। তৃণমূল মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও তার ভাই স্বরূপ বিশ্বাসের নামে বিজেপি রাজ্য সম্পাদক সংঘমিত্রা চৌধুরী অভিযোগ করে জানান, “অরূপ বিশ্বাস এসে ফেডারেশনের দায়িত্ব দিল নিজের ভাই স্বরূপ বিশ্বাসকে। কিন্তু তিনি না শিল্পী, না টেকনিশিয়ান। কোন যোগ্যতায় উনি ফেডারেশনের দায়িত্ব পেলেন? এরপরে দুই হাত দিয়ে দুর্নীতি শুরু হয় দুই ভাইয়ের। কোনও পরিচালক নিজেদের ইচ্ছামত দল ঠিক করতে পারে না। যারা একমাত্র তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত তাদেরকেই নিতে হবে দলে। এমনটাই নির্দেশ চাপিয়ে দিত স্বরূপ বিশ্বাসের ফেডারেশন।”
এদিনের মিছিলে সদ্য বিজেপি যোগ দেওয়া বিশিষ্ট অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তিনি আর এসে পৌঁছতে পারেননি। সংঘমিত্রা চৌধুরী এদিন লকডাউনে কাজ না থাকার জন্য টালিগঞ্জের টেকনিশিয়ানদের সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন। ক্ষমতায় এসে বিজেপি প্রত্যেকটি বিধানসভা কেন্দ্রে একটি করে ছোট সিনেমা হল তৈরি করবে বলে দাবি করেছেন তিনি। নিজের সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় বিশিষ্ট অভিনেতা লামা জানিয়েছেন, “বাংলায় একটা কথা আছে, ‘আপনি বাঁচলে বাপের নাম’। কথাটা স্বার্থপরের মতো শোনালেও তা নয়। তাই ভোটের দিন সকাল সকাল পদ্ম ফুলে ছাপ দিন। নিজেও বাঁচুন, অন্যকেও বাঁচান।”