সিঙ্গাপুরের ‘ক্লার্ক কোয়ে’-র ধাঁচে সাজবে টালিনালা, পরিদর্শন করে কী জানালেন মেয়র?

সিঙ্গাপুরের ‘ক্লার্ক কোয়ে’-র ধাঁচে সাজবে টালিনালা, পরিদর্শন করে কী জানালেন মেয়র?

কলকাতা: সিঙ্গাপুরের অন্যতম আকর্ষণ হল ‘ক্লার্ক-কোয়ে’৷  লম্বা খালের চারপাশে সারি দিয়ে সাজানো কফিশপ, রেস্তরাঁর ভিড়। সিঙ্গাপুরের এই এলাকাই হল শহরের ফুসফুস। সিঙ্গাপুরের সেই ‘ক্লার্ক-কোয়ে’-র ধাঁচেই এবার সেজে উঠবে কলকাতার টালিনালা৷ সেই উদ্যোগ নিতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। সোমবার কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম নিজে টালিনালা পরিদর্শন করেন। গোটা এলাকা ঘুরে দেখার পর তিনি বলেন, সিঙ্গাপুরের ক্লার্ক কি একসময় মজে যাওয়া, স্থবির এক খাল ছিল। কিছুটা টালি নালার মতো। মজে যাওয়া সেই নদীর জলকে ট্রিটমেন্ট করে এমন করা হয়েছে যে এখন আর সেখানে কোনও গন্ধ নেই। বরং এর চারপাশ জুড়ে একের পর রেস্তোরা। কলকাতার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে এই টালিনালা। এই এলাকার খোলনলচে বদলে ফেলতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও নিচ্ছেন মেয়র৷

টালিগঞ্জ গড়িয়া হয়ে সোনারপুরের দিকে বয়ে চলা ১৫ কিলোমিটারের দীর্ঘ এই টালিনালা খাল দিয়ে একসময় পণ‌্য পরিবহন করা হত৷ এখন এখানে এসে জমে বিভিন্ন জায়গার নোংরা কালো জল৷ সঙ্গে দুর্গন্ধ৷ খালের দু’পাশ দখল করে গড়ে উঠেছে ঝুপড়ি৷ সেখান থেকেও নোংরা বর্জ‌্য এসে পড়ে এই খালে। ফিরহাদ জানান, ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে।  এর জন্য খরচ হচ্ছে ত্রিশ কোটি টাকা৷ তিনি বলেন, ‘‘টালি নালা পরিষ্কার হলে শহরের সৌন্দর্যায়ন হবে। শহরের মধ্যে দিয়ে সুন্দরভাবে জল চলাচল করবে। তবে টালি নালার পাড়ে থাকা নাগরিকের সচেতন হতে হবে। তাঁরা যদি এটাকে একটা ভ্যাট মনে করে আবর্জনা ফেলেন, তাহলে আমাদের কোনও উদ্যোগই কাজে লাগবে না।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *