কলকাতা: পরিবর্তন যাত্রার সমাপ্তি ঘোষণা করে কড়া শব্দবান ছুঁড়লেন বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা৷ দুর্নীতি, তোলাবাজি ইস্যুকে ফের খোঁচা দিলেন ঘাসফুলে৷ বললেন, করোনা ভাইরাসের পাশাপাশি টিকা দিতে হবে এর বিরুদ্ধে৷
আরও পড়ুন- ‘আগামী মে মাসে মমতা দিদিকে আরাম দিন আর বিজেপি’কে কাজ দিন’, হুঙ্কার নাড্ডার
এদিন বাংলার বিকাশে প্রধানমন্ত্রীর অবদানের কথাও তুলে ধরেন তিনি৷ নাড্ডা বলেন, স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পে বাংলায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ শৌচাগার বানানো হয়েছে৷ জনধন যোজনার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাংলার প্রায় ২ কোটি মানুষ৷ উজ্জ্বলা যোজনা থেকে সৌভাগ্য যোজনা, সব দিক থেকে প্রধানমন্ত্রী ভারতের ভাগ্য বদলের চেষ্টা করেছে৷ কিন্তু বাংলায় বারবার বাধা এসেছে৷ এই বাধাকেই দূর করতে হবে৷ সুর চড়ান নাড্ডা৷
তিনি জানান, এই বছর কেন্দ্রীয় বাজেটে ৬৭৫ কিলোমিটার রাস্তা তৈরির জন্য ২৫ হাজার কোটি টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বাংলাতে৷ এর পরেই তোপ দেগে তিনি বলেন, গতকাল মমতা দিদি তাঁর ভাষণে বাংলার মানুষের জন্য টিকাকরণের কথা বলেছিলেন৷ কিন্তু উনি জানেন না, নরেন্দ্র মোদী ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, ১ মার্চ থেকে ৬০ ঊর্ধ্ব ব্যক্তিদের টিকাকরণ করা হবে৷ শুধু তাই নয়, যাঁরা ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে এবং কোমর্বিডিটি আছে, তাঁদেরও বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হবে৷ তাঁর ঝাঁঝালো আক্রমণ, কিন্তু এটাই যথেষ্ট নয়৷ এ রাজ্যে তোলাবাজির বিরুদ্ধে, চাল চোরদের বিরুদ্ধে, কাটমানির বিরুদ্ধে টিকাকরণ করতে হবে৷ মে মাসে বাংলার জনতা সেই টিকা দেবে৷
আরও পড়ুন- চালকের আসনে মুখ্যমন্ত্রী! ফিরহাদকে নামিয়ে স্কুটি চালানোর চেষ্টায় মমতা
তাঁর কথায়, বাংলায় সবচেয়ে বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে, গার্হস্থ্য হিংসা হচ্ছে৷ সব চেয়ে বেশি মানব পাচার হচ্ছে এ রাজ্যে৷ এ রাজ্যে সুরক্ষিত নয় মেয়েরা৷ বাংলার মেয়েদের কথা ভাবেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মণীশ গুপ্তর মতো কর্মীদের মৃত্যুতে মায়ের কোল খালি হয়েছে৷ স্ত্রীয়ের সিঁদুর মুছে গিয়েছে৷
তোপ দেগে নাড্ডা বলেন, রাজ্যে আপশাসন চলছে৷ দুর্নীতি, অনাচার, অপশাসনের প্রতিমূর্তি হল তৃণমূল সরকার৷ তাই এই সরকারকে এবার আরাম দিতে হবে৷ বাংলায় পরিবর্তনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে৷ সর্ব শক্তি দিয়ে বাংলায় ভারতায় জনতা পার্টিকে ক্ষমতায় আনতে হবে৷ গতকাল মমতা দিদি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর জন্য যে ভাষা ব্যবহার করেছেন, তা বাংলার সংস্কৃতি নয়৷ এটা সোনার বাংলা৷ মমতা দিদির ভাষার বাংলা এটা নয়৷ বাংলার সংস্কৃতিকে পুনস্থাপন করতে হবে৷ প্রসঙ্গত, গতকাল ডানলপের সভা থেকে মমতা বলেছিলেন, কেন্দ্রে দু’জন নেতা আছেন৷ একজন হোঁদল কুতকুত আর একজন কিম্ভুত কিমাকার৷