বাঁকুড়া: ‘‘সাম্প্রদায়িক হানাহানি, হিংসা, মিথ্যাচার, কূৎসার বিরুদ্ধে বাংলার মানুষ আবারও রায় দিয়েছেন। মানুষ প্রমাণ করে দিয়েছেন এখানে এই সব রাজনীতির কোনও জায়গা নেই। বিজেপির মুখে আজ ‘ঝামা ঘষা’ হয়ে গেছে।’’ মঙ্গলবার বাঁকুড়ার দূর্লভপুর শ্রমিক ভবনে কালী পুজার উদ্বোধন করতে এসে রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে একথা বলেন রাজ্য আইএনটিটিইউসি-র সম্পাদক ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে এদিন তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, সারা দেশের মানুষ চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে লড়াইয়ের মাধ্যমে বিজেপির পরাজয় ঘটুক।
এদিন ওই কালী পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়েও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একহাত নেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘শারদোৎসবে মোদিসাসুরমর্দিনী’ শব্দটি যে বাঙালী উচ্চারণ করেছিলেন তাকে আমি চিনি না। তবে তাকে নতমস্তকে কুর্নিশ জানাই। আগামী ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘মোদিসাসুরমর্দিনী’ রুপে দেখা যাবে৷’’ এদিন একই সঙ্গে বাঁকুড়া জেলা আইএনটিটিইউসি-র পক্ষ থেকে অসহায় দুঃস্থ মানুষের হাতে বস্ত্র তুলে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে রাজ্যের চারটি বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস জয় লাভ করায় আজ দুপুরে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেস বিজয় উল্লাসে মেতে উঠে। এদিন চোপড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মহম্মদ আজারুদ্দিনের উদ্যোগে ফুটবল ময়দান থেকে তৃণমূলের দলীয় কর্মীদের সাথে নিয়ে ব্যান্ড পার্টি নিয়ে এলাকা পরিক্রমা করে। পাশাপাশি একে অপরকে সবুজ আবিরে রঙিয়ে তোলে দলীয় কর্মীরা।
এদিন চোপড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মহম্মদ আজারুদ্দিন বলেন, এই জয় মা মাটি মানুষের জয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে রাজ্য জুড়ে উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিয়েছে তাতে মানুষ আরও বেশি করে তৃণমূলের প্রতি আস্থাশীল হয়েছেন৷ অন্যদিকে সাম্প্রদায়িকতার সুরসুরি দিয়েছে বিজেপির৷ ভোট বাক্সে তার যোগ্য জবাব দিয়েছেন জনতা৷