কলকাতা: সকাল থেকে শুরু হওয়া পঞ্চায়েত ভোটে লাগামছাড়া হিংসার ঘটনায় ইতিমধ্যে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। বিরোধীদের কর্মী, নেতারা যেমন এই তালিকায় আছেন, তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাও রয়েছেন। রাজ্যের অধিকাংশ জেলা থেকেই মৃত্যুর খবর আসছে এবং তার মধ্যে নতুন সংযোজন কাটোয়া এবং বাসন্তী। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী ও পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় তৃণমূল কর্মীকে খুন করা হয়েছে।
কাটোয়া দু’নম্বর ব্লকের নন্দীগ্রামে তৃণমূল এজেন্টকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে সিপিএমের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের অভিযোগ, স্থানীয় সিপিএম নেতার নির্দেশে তাঁদের দলের নেতার ওপর লাঠি-বাঁশ নিয়ে চড়াও হয় কিছু সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতী। ঘটনাস্থলে জ্ঞান হারান তিনি। তারপর তাঁকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। বাসন্তী থানার ফুলমালঞ্চ এলাকার ঘটনায় এখনও উত্তাপ বহাল রয়েছে।
ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কংগ্রেসের তরফে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে ফোন করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি নাকি ফোনে রাজীবকে বলেন, ‘আর কত রক্ত ঝরাবেন?’ নন্দীগ্রামের বিধায়ক নাকি আরও বলেছেন, ‘সন্ধ্যা ৬টায় কমিশনে যাচ্ছি। তালা ঝোলাবো সেখানে।’