কলকাতা: বিজেপি’র বিক্ষোভে রণক্ষেত্র বিধানসভা৷ বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনেই ওয়েলে নেমে ঝড় তুলল পদ্ম শিবির৷ যার জেরে ভাষণই দিতে পারলেন না রাজ্যপাল৷ বক্তব্যের প্রথম ও শেষ লাইন পড়ে কক্ষ ছাড়েন জগদীপ ধনকড়৷ বিজেপির এই বিক্ষোভকে ‘নাটক ও পরিকল্পিত বিশৃঙ্খলা’ বলে কটাক্ষ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, সাংবাদিক বৈঠক করে বোমা ফাটালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, ”মুখ্যমন্ত্রীর ইশারায় তৃণমূলের মহিলা বিধায়করা রাজ্যপালকে হেনস্থা করেছে৷’’
আরও পড়ুন- গণতন্ত্রের লজ্জা, বিজেপি নাটক করেছে! বিধানসভার ঘটনায় ক্ষুব্ধ মমতা
এদিন শুভেন্দু বলেন, বিজেপি রাজ্যের একমাত্র বিরোধী দল৷ আমরা রাজ্যপালের ভাষণের প্রতিলিপি দেখে প্রতিবাদ জানিয়েছি৷ বিধানসভায় নজিরবিহীন প্রতিবাদ হয়েছে৷ রাজ্যপালকে আমরা সম্মান করি৷ কিন্তু তিনি যে লিখিত বক্তব্য পড়তে চাইছিলেন, সেটা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্ক প্রসূত৷ তিনি যা চেয়েছেন মন্ত্রিসভা সেটাই অনুমোদন করেছেন৷ এর উপর কোনও আলোচনার প্রয়োজন ছিল৷ তৃণমূল তা মানেনি৷ সেই কারণেই গণতান্ত্রিক উপায়ে সংসদীয় রীতিনীতি মেনে প্রতিবাদ হয়েছে৷ শুভেন্দুর দাবি, ‘তৃণমূল গণতন্ত্র মানে না৷ তোলাবাজ গুণ্ডা দিয়ে ভোট করিয়েছে৷ ছাপ্পা হয়েছে৷ ভোট লুঠ হয়েছে৷ আমরা প্রতিবাদ করেছি৷’
শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘আজ মহিলা বিধায়কদের দিয়ে রাজ্যপালকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করা হয়েছে৷ রাজ্যপাল নির্যাতিত হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রসের গুণ্ডা এলএলএ দ্বারা৷ ভোটের সময় যা হয়েছে৷ আজ বিধানসভায় সেটাই হয়েছে৷ আমরা চোখে চোখ রেখে লড়াই করার জন্য এসেছে৷ সিটিং অপজিশন নয়৷’’ সেই সঙ্গে শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, শাসক দল, সরকার গণতান্ত্রিক প্রথা না মানলে রাজ্যজুড়ে বিচ্ছিন্নবাদী শক্তি মাথাচাড় দেবে। রাজ্যভাগের কথা উঠবে৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>