কলকাতা: দল বিরোধী মন্তব্য এবং দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগে ইতিমধ্যেই বালির বিধায়ক বৈশাখী ডালমিয়াকে বহিস্কার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। গত কয়েকদিন ধরে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে দলের একাংশের বিরুদ্ধে আক্রমণ করেছিলেন তিনি। আজ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের পর একই ধরনের অভিযোগ তুলে সরব হন বৈশালী। সেই প্রেক্ষিতে তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি। তবে শুধু বৈশালী ডালমিয়া নন, এরপর থেকে যে দল বিরোধী কাজ করবে বলে মনে হচ্ছে, বা এমন কেউ যে দল বিরোধী মন্তব্য করছে, তার বিরুদ্ধেও একই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর।
জানা যাচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেসের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি এখন কঠোর মনোভাব নিচ্ছে এই বিষয়ে। এখন থেকে যারা দল বিরোধী কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধেও একই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। দলের ভাবমূর্তি এবং স্বচ্ছতা যাতে বজায় থাকে সেই প্রেক্ষিতে পরবর্তী সময়ে কঠোর মনোভাব পোষণ করছে শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি। যারা দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মন্তব্য করবে, যারা দল বিরোধী কাজ করছে বলে মনে হবে, তাদের বিরুদ্ধেও বৈশালী ডালমিয়ার মতো পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে। আজ শৃঙ্খলা রক্ষার কমিটির বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে খবর। এই সিদ্ধান্তের কথা শোনার পরে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের যারা যারা বেসুরো হচ্ছেন তাদের প্রতি কঠোর ব্যবস্থা নিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বৈশালী ডালমিয়াকে বহিষ্কারের মধ্যে দিয়ে দলের প্রত্যেককে এই বার্তা দিয়ে দিলো তারা।
রাজীবের পদত্যাগ প্রসঙ্গে বৈশালী বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার যে হাওড়া জেলা থেকে একে একে সব দক্ষ প্রশাসক দল ছেড়ে দিচ্ছে। দলের বিমুখে যাচ্ছে। আবারও প্রমাণিত হল যে দলে উইপোকা রয়েছে, তারা আস্তে আস্তে দল শেষ করে দিচ্ছে। এদিন বৈশালী আবার তৃণমূল কংগ্রেস দলের একাংশের প্রতি অভিযোগ করে বলেন, বলে এমন ব্যক্তি রয়েছে যারা অনেককে কাজ করতে বাধা দেয়, অকারণ জ্বালাতন করে। বৈশালীর কথায়, তিনি অনেক দিন ধরেই এই ব্যাপারে সরব হয়ে আসছেন কিন্তু বাকিরা হয়তো সেই ভাবে হতে পারেননি। এখন সেটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে আরো একটি বিস্ফোরক অভিযোগ করেন বৈশালী। দাবি করেন, প্রাক্তন কাউন্সিলর বা দলের কারুর বিরুদ্ধে যদি পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তাহলে জনগণের অসুবিধা থাকলেও তাদের সুরক্ষিত করে রাখার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। এই করে করে হাওড়া জেলাটাই পুরো নষ্ট হয়ে গেল বলে আক্ষেপ করছেন বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া।