কলকাতা: রাজ্যের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি একদম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকার আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বিধি-নিষেধ বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে চলতি মাসের মাঝে কয়েক দিন নাইট কার্ফু শিথিল করা হয়েছে। জানান হয়েছে, পুজোর জন্য ১০ থেকে ২০ অক্টোবর রাতের বিধি নিষেধ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা। এদিকে আবার ৩০ অক্টোবর চার কেন্দ্রের উপনির্বাচন রয়েছে। যার প্রচার মোটামুটি এখন থেকে শুরু হয়ে যাবে। কিন্তু পুজোর কথা ভেবে বড় সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল শিবির। জানান হল, পুজোর সময় ১০-২০ অক্টোবর উপনির্বাচনে প্রচার করবেন না তৃণমূল প্রার্থীরা।
৩০ অক্টোবর খড়দহ, দিনহাটা, শান্তিপুর ও গোসাবায় উপনির্বাচন। তবে চলতি মাসেই দুর্গাপুজো ছাড়া লক্ষ্ণীপুজো ও মুসলিম সম্প্রদায়ের নবি উৎসব রয়েছে। তাই মাঝের ১০ থেকে ২০ অক্টোবর প্রচার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঘাসফুল শিবির। মূলত এই সময় প্রচার চাননি খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নির্বাচন কমিশনকে এও অনুরোধ করেছেন যাতে ওই সময় নির্বাচনী প্রচার বন্ধ রাখা হয়। যদিও তৃণমূল শিবির এখন থেকেই জোরকদমে কাজ করছে প্রচারের কাজ আপাততভাবে ৯ তারিখের মধ্যে শেষ করে ফেলতে। পরে আবার ২১ তারিখ থেকে বাকি কাজ শুরু করবে তারা। উল্লেখ্য, এইবারের নিষেধাজ্ঞাতেও আগের মতোই স্কুল, কলেজ বন্ধই থাকছে। বাজার-হাট খোলার ক্ষেত্রে আগের নিয়মই বজায় থাকবে। এছাড়া যে কোনও অনুষ্ঠানে সর্বাধিক ৫০ জনের অনুমতি রয়েছে আগের মতোই। এবারেও লোকাল ট্রেন চালুর অনুমতি দেয়নি রাজ্য সরকার। আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে, গ্রামাঞ্চলে ৫০ শতাংশ টিকাকরণ না হলে আশ্বস্ত হতে পারছে না রাজ্য সরকার৷ আর যতদিন না ৫০ শতাংশ টিকাকরণ হচ্ছে গ্রামে, ততোদিন ট্রেন বন্ধই থাকবে রাজ্যে৷
প্রসঙ্গত, কোভিড বিধির কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকার এবারেও বিজয়াতে রেড রোডে পুজো কার্নিভাল না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি যে কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নবান্ন থেকে এই বিষয়ে মোট এগারো দফা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। জানান হয়েছে, রাজ্যের কোনও পুজো মণ্ডপ জলসার আয়োজন করতে পারবে না। এদিকে আবার মণ্ডপের ভিতরেও মানতে হবে সামাজিক দূরত্ব এবং করোনা বিধি মেনেই পুজো করতে হবে। কার্যত গত বছর যে নিয়ম ছিল দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে এবারেও সেই একই নিয়ম লাগু করা হল। আসলে চলতি মাসেই করোনা ভাইরাস তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে, পুজোতে ভিড় হলে যে ভাইরাস সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে তার আগাম সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই অনুযায়ীই এবারেও একাধিক বিধি নিষেধ, ঠিক আগের বছরের মতোই জারি করল নবান্ন।