কলকাতা: আর কয়েক সপ্তাহ পরেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে দলবদল পরিস্থিতিতে বেশ চাপে রয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এবার এক লহমায় বড়সড় ভাঙ্গন ধরল বিজেপি এবং সিপিএমে, আর তাতে লাভবান হল তৃণমূল কংগ্রেস। নদিয়ায় রানাঘাটে দুই দল থেকে ২৫০ জন যোগ দিল শাসক দলে! দলত্যাগীদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যাও। এই দলবদলে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে।
আরও পড়ুন: বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল প্রশান্ত কিশোরের বাড়ি! রাজনৈতিক হিংসার জের?
জানা গিয়েছে, রানাঘাটের মাঝেরগ্রামে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগদান করেন বিজেপির ১৫০ জন ও সিপিএমের ১০০ জন কর্মী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে তৃণমূলে যোগদান, দাবি করেছে দলত্যাগীরা। যদিও বিজেপি এবং সিপিএমের বক্তব্য, দলত্যাগীদের সঙ্গে আগেই সম্পর্ক ছেদ হয়েছিল। এদিকে আবার বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং দাবি করেছেন, সিপিএম নেতা জাকির বল্লুক যোগ দেবেন বিজেপিতে। তাঁর কথায়, খুব শীঘ্রই উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙার সিপিএম নেতা জাকির বল্লুক বিজেপিতে আসছেন। যদিও এ ব্যাপারে এখন মুখ খোলেননি ঐ নেতা।
আরও পড়ুন: মোদী-শাহ ভালো বন্ধু, বিজেপিতে গেলে ভুল কোথায়? প্রশ্ন দীনেশের
নির্বাচনের আগে দলবদল আবহে এখন ব্যাকফুটেই রয়েছে শাসক দল। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া থেকে শুরু করে শীলভদ্র দত্ত, এদিকে সদ্য রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দেওয়া সাংসদ দীনেশ ত্রিভেদী, সকলেই তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। তবে বিজেপি এবং সিপিএম থেকে এত সংখ্যক কর্মী এখন দলে যোগ দেওয়ায় তাদের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়বে বলেই ধারনা সকলের। উল্লেখ্য, ইস্তফা দেওয়ার পর দীনেশ ত্রিভেদী জানিয়েছেন, “কর্পোরেট পেশাদারদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে দল। সেই যাবতীয় কাজকর্ম চালাচ্ছে। এমন একজন দলের নেতা হয়েছে যে রাজনীতির অ-আ-ক-খ জানে না। এই পরিস্থিতিতে কেউ কি করতে পারে?” অন্যদিকে দলবদল করছেন কিনা এই প্রশ্ন তোলা হলে তিনি বলেন, “আমি এখন নিজের সঙ্গে আছি। আমি এখন খুবই স্বস্তিতে। নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার কোনো রকম অনুতাপ নেই”।