কলকাতা: উপ নির্বাচন কমিশনার তথা রাজ্যের নির্বাচনী পর্যবেক্ষকের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে তাঁর অপসারণের দাবি তুলল তৃণমূল কংগ্রেস৷ অভিযোগ, একের পর এক পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছেন সুদীপ জৈন৷ তিনি দায়িত্বে থাকলে সকলের প্রতি সমান আচরণ করা হবে কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান তৃণমূল কংগ্রেস৷ বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁর আপসারণের দাবি তোলার কথা জানলেন সৌগত রায়৷
আরও পড়ুন- BREAKING: ‘স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে ১৮৮.৯০ কোটি টাকার গড়মিল’, হাইকোর্টে দায়ের মামলা!
এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে সৌগত রায় বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের আট দফায় ভোট করানোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পরই তিনি প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন৷ বিশেষ রাজনৈতিক দলের দ্বারা প্রভাবিত হয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন৷ বাংলার মানুষকে কষ্ট দিতেই আট দফায় নির্বাচন হচ্ছে৷’’ তিনি আরও বলনে, ‘‘দলের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠিয়ে ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনের অপসারণের দাবি জানিয়েছেন ডেরেক ও’ব্রায়েন৷’’
প্রসঙ্গত, সুদীপ জৈনকে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্ব দিয়েছে নির্বাচন কমিশন৷ সৌগতবাবু আরও বলেন, এর আগে ২০১৯ সালেও ওঁনার পক্ষপাতমূলক আচরণ আমরা দেখেছি৷ ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে বিদ্যাসাগর কলেজে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা হয়েছিল৷ এই ঘটনার একটি ভুল এবং পক্ষপাতদুষ্ট রিপোর্ট পাঠিয়েছিলেন সুদীপ জৈন৷ যার জেরে নির্বাচনের দুই দিন আগেই প্রচার বন্ধ করার নির্দেশ দেয় কমিশন৷ অথচ ওই দুই দিন প্রচার চালিয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি৷
তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘মূর্তি ভাঙার পর নির্বাচন কমিশন কোনও পদক্ষেপ করেনি৷ অমিত শাহের বিরুদ্ধেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি৷ সুদীপ জৈনের কাজ ছিল সম্পূর্ণ পক্ষপাত দুষ্ট৷’’ এখানেই শেষ নয়৷ গতবার নির্বাচনের আগে উনি কুইক রেসপন্স টিম তৈরি করেছিলেন৷ তাতে ছিল স্টেট এবং সেন্ট্রাল আর্ম পুলিশ৷ কিন্তু সুদীপ জৈনের বক্তব্য ছিল কুইক রেসপন্স টিমের প্রধান হবেন একজন সিআরপিএফ অফিসার৷ যা সংবিধান বিরোধী৷ ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্য পুলিশকে নির্দেশ দিতে পারে না৷ পরে অবশ্য নির্বাচন কমিশন এই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেয়৷’’
আরও পড়ুন- BREAKING: ভোটের মুখে ছত্রধর মাহাতো মামলায় নয়া মোড়! তৎপর NIA
ভবিষ্যতে সুদীপ জৈন নিরপেক্ষ থাকবেন কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে তৃণমূল৷ সৌগতবাবু বলেন, তার কোনও কাজ যে বিজেপি’কে সাহায্য করবে না, সে বিষয়েও আমরা নিশ্চিত নই৷ সুদীপ জৈনের উপর আমাদের কোনও ভরসা নেই৷ সে কারণেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে চিঠি পাঠিয়ে ডেপুটি নির্বাচন কমিশনারের আপসারণ দাবি করা হয়েছে৷