কলকাতা: রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ তুলে তৃণমূল কংগ্রেস তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছে। দলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় আজ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যপালের জেলা সফর এবং ভিন রাজ্য থেকে এ রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে তাঁর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, রাজ্যপাল সমাজ বিরোধীদের উস্কানি দিতে রাস্তায় নেমেছেন।
তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য, ভোট শেষ হওয়ার পরেই হিংসা দমন করা গিয়েছে এবং রাজ্য সরকারের ভূমিকায় কলকাতা হাইকোর্টেও সন্তোষ প্রকাশ করেছে। কিন্তু রাজ্যপাল শীতলকুচির মতো জায়গায় গিয়ে হিংসায় ইন্ধন জোগাচ্ছেন। ওখানে যে ৪ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মারা গিয়েছেন বা কোচবিহারে যে ২ তৃণমূল কর্মী খুন হন তাদের পরিবারের সঙ্গেও রাজ্যপাল কেন দেখা করলেন না তা নিয়ে সুখেন্দু শেখর রায় প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, এতেই পরিষ্কার রাজ্যপাল বিজেপির প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন।উনি রাজ্যপাল পদের অযোগ্য। ওঁকে বরখাস্ত করা উচিত। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, রাজ্যপাল তাঁর প্রশাসনিক সফরে কোনও রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিত্বকে নিয়ে যেতে পারেন না। সেক্ষেত্রে কী করে বিজেপি সাংসদ তাঁর সঙ্গে সফরে গেলেন, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গতকাল কোচবিহার সফরে গিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভের সম্মুখীন হতে হয় তাঁকে শুনতে হয় গো ব্যাক স্লোগান। পরবর্তী ক্ষেত্রে দিনহাটা থানার আইসিকে প্রবল ভর্ৎসনা করতে দেখা যায় রাজ্যপালকে। এর পরে অবশ্য বিক্ষোভকারীদের লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যায় পুলিশ এবং পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। সব মিলিয়ে পরিস্থিতির যথেষ্ট উত্তপ্ত হয়। পরে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপাল জানেন, মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি পাওয়ার পর তিনি তাঁকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে তিনি যেটা বলছেন সেটা অসাংবিধানিক এবং অনৈতিক। এদিন তিনি আরও বলেন, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে এটা তিনি আগে থেকেই জানতেন এবং সেই ধরনের খবর পাচ্ছিলেন ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনা ছড়িয়ে পড়ার সময়। কিন্তু কোচবিহারে এসে তাঁর মনে হয়েছে তিনি ভুল ছিলেন। রাজ্যপালের কথায়, তিনি যা ভেবেছিলেন তার থেকে আরো ভয়ানক অবস্থায় রয়েছে রাজ্য। আইন শৃঙ্খলা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে বলে দাবি করেন তিনি।