কলকাতা: বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে হ্যাটট্রিক করে তৃতীয় বারের জন্য সরকার গঠন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসনের হিসাবে গত বিধানসভা নির্বাচনের থেকেও বেশি আসন পেয়েছে শাসক দল। তবে এখনও ৭ কেন্দ্রে নির্বাচন বাকি রয়েছে। তাই এবার ভবানীপুর, খড়দহ সহ ৭ কেন্দ্রে উপনির্বাচন নিয়ে তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। নয়াদিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তাদের এক প্রতিনিধি দল।
কিছু সময় আগেই দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন যে তারা চাইছেন যাতে তাড়াতাড়ি উপনির্বাচন হয়ে যায়। উপনির্বাচন সংগঠিত করতে রাজ্য সরকার প্রস্তুত বলেও দাবি করেছেন তিনি। সেই প্রেক্ষিতেই ছয় সদস্যের এক প্রতিনিধি দল রাজধানীতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে আজ। এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় থেকে শুরু করে সৌগত রায়। সূত্রের খবর, যত দ্রুত সম্ভব রাজ্যের উপনির্বাচন সেরে ফেলতে চাইছে শাসক দল। সেই কারণেই এদিন নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়ে ব্যাপারটিতে আরো এক ধাপ এগোতে চাইছে তারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুদিন আগেই স্পষ্ট দাবি করেছিলেন যে, নির্বাচন সংঘটিত করে মাত্র ৭ দিন প্রচারের জন্য সময় দিলেই চলবে। এও জানিয়েছিলেন যে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে নির্বাচন কমিশন, অনুমতি পেলেই তারা নির্বাচনের দিনক্ষণ হয়তো ঘোষণা করে দেবে। সেই প্রেক্ষিতেই দিল্লিতে গিয়ে কমিশনকে আরো চেপে ধরতে চাইছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন- যোগী রাজ্যে ভোট যুদ্ধে প্রিয়াঙ্কাকেই চায় কংগ্রেস, টুইটারে ট্রেন্ডিং ‘দিদি আ রহি হ্যায়’
প্রসঙ্গত বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই পরাজয় নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল ব্যাপকভাবে এবং এখন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। অন্যদিকে একাধিক আসন নিয়ে কারচুপির অভিযোগ তুলেছে বিজেপিও। সবমিলিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিতর্ক এখনো শেষ হয়নি। এদিকে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে প্রার্থীর মৃত্যু হয়েছে ভোটের আগেই, আবার ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়ে ইস্তফা দিয়েছেন শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে মোট ৭ কেন্দ্রে উপনির্বাচন সংঘটিত হওয়ার কথা।