‘কোথাও যাস না, চলে আয়!’ বিদ্রোহী বিধায়ককে ‘মান’ ভাঙাতে তৎপর অনুব্রত-মলয়

কালনা: রাজ্য রাজনীতিতে দলবদল এখন হট টপিক। বেশ কিছুদিন ধরেই অনেকেই তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপির দিকে ঝুঁকেছে। তেমনই একজন কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু। তাঁর দলবদলের জল্পনা কানে যেতেই বিধায়ককে নিজেই ফোন করেন বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বলেন, “তোর মত ছেলেকে দলের খুব প্রয়োজন। তুই কোথাও যাস না। চলে আয়।” বৃহস্পতিবার বিশ্বজিৎ কুণ্ডু নিজেই সে কথা জানান।

কালনা: রাজ্য রাজনীতিতে দলবদল এখন হট টপিক। বেশ কিছুদিন ধরেই অনেকেই তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপির দিকে ঝুঁকেছে। তেমনই একজন কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু। তাঁর দলবদলের জল্পনা কানে যেতেই বিধায়ককে নিজেই ফোন করেন বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বলেন, ‘‘তোর মত ছেলেকে দলের খুব প্রয়োজন। তুই কোথাও যাস না৷ চলে আয়৷’’ বৃহস্পতিবার বিশ্বজিৎ কুণ্ডু নিজেই সে কথা জানান।

বুধবার রাতে কাঁকসায় সাংসদ সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে ছিল বৈঠক। ডেকেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে যোগ দেন কালনা তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু। ইতিমধ্যেই তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মন্ত্রী মলয় ঘটক। বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু জানান, তিনি তাঁর এলাকার বাসিন্দাদের সমস্যার কথা দলের জেলা সভাপতি থেকে শীর্ষ নেতাদের জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর বক্তব্যকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন বিশ্বজিৎবাবু। এখন সেই সব নেতাদের অনেকেই ফোন করছেন। সবার ফোন না ধরলেও মলয় ঘটকের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। অনুব্রত মণ্ডলের ফোন করার কথা তিনি স্বীকার করে বলেন, তিনি তাঁকে দল না ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কোথাও না যেতে বলেছেন।

কিন্তু কোথায় যাওয়ার ইঙ্গিত করেছেন অনুব্রত? বিশ্বজিৎবাবুর মতে, সম্ভবত বিজেপিতে যোগ দিতে নিষেধ করেছেন অনুব্রত মণ্ডল। কাঁকসায় তিনি শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠকে গিয়েছিলেন। তাই হয়তো তাঁকে এ কথা বলা হয়েছে। বিশ্বজিৎবাবু যাতে দল না ছাড়েন তেমন কথাই বলেছেন অনুব্রত। এদিকে কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডুর ক্ষোভ মেটাতে মন্ত্রী মলয় ঘটককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলকাতা তাঁদের মধ্যে আলোচনা হওয়ার কথা। 

প্রসঙ্গত বুধবার সন্ধ্যায় কাঁকসায় সুনীল মণ্ডল, শুভেন্দু অধিকারী, জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও বিশ্বজিৎ কুণ্ডু বৈঠক করেন। এই বৈঠকের পরই নড়েচড়ে বসে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের ভাঙন রুখতে বিশ্বজিৎ কুণ্ডুকে বোঝানোর জন্য মন্ত্রী মলয় ঘটককে দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, বিশ্বজিৎ কুণ্ডু দলীয় কোনও কর্মসূচিতে কিছুদিন ধরে যোগ দিচ্ছেন না। এনিয়ে দলের মধ্যে জল্পনা চলছে। যদিও এতদিন স্পষিট করে কিছু বলেননি বিশ্বজিৎ কুণ্ডু। কিন্তু বুধবারের বৈঠকের পর ও মলয় ঘটকের ফোন পাওয়ার পর তিনি জানান, মলয়দা ঘটকের সঙ্গে তিনি কথাবার্তা বলবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × five =