কলকাতা: রাজ্য বিধানসভায় বদলে গিয়েছে বিরোধী আসনের রূপ৷ বাম-কংগ্রেস নয়, বিরোধী আসনে এবার বসেছে বিজেপি৷ তাই বিধানসভায় শাসক দলের চলার পথও যে খুব একটা মসৃণ হবে না তা বলাই বাহুল্য৷ সরকার পক্ষকে রীতিমতো চাপে ফেলতে তৈরি বিরোধী শিবির৷ তাই বিজেপি’র আক্রমণের বিরুদ্ধে কী ভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে নবনির্বাচিত বিধায়কদের সেই পাঠ দিলেন দলের বর্ষীয়ানরা৷ বিজেপি যে বাম-কংগ্রেসের মতো আচরণ করবে না, সে বিষয়েও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে৷
আরও পড়ুন- ‘স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড’ প্রমাণ করল উচ্চশিক্ষা এখন কর্পোরেটদের খপ্পরে বিরাট এক মহার্ঘ পণ্য!
বঙ্গ বিধানসভায় এই প্রথম প্রধান বিরোধী দল হিসাবে উঠে এসেছে বিজেপি৷ গতকাল সকাল ১০টায় শোক প্রস্তাবের পর বিধানসভা মুলতুবি হয়ে যায়৷ এর পর বেলা ১২টা নাগাদ বিধানসভা ভবনের নৌসার আলি কক্ষে তৃণমূলের নব নির্বাচিত বিধায়কদের নিয়ে শুরু হয় বর্ষীয়ান নেতাদের ক্লাস৷ সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, বিজেপি বাম-কংগ্রেসের মতো আচরণ করবে না৷ তাঁরা অনেক বেশি অশান্তি করার চেষ্টা করবে৷ সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপের বিরোধিতা করতে উদ্যোগী হবে৷ এই অবস্থায় কেউ যেন একাকী প্রতিবাদে মুখর হয়ে না ওঠেন৷ দলের নির্দেশ আসার পরেই সংসদীয় রীতি মেনে প্রতিবাদ করতে হবে৷ বিধানসভার নিয়ম-কানুন সম্পর্কে প্রত্যেক বিধায়ককে সতর্ক থাকতে হবে৷ বর্ষীয়ান নেতারা বাম-কংগ্রেসের তুলনা টেনে স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, আগে বিরোধীরা ওয়াক আউট করলেও পরে তাঁরা আলোচনা করত৷ কিন্তু বিজেপি কোনও ভাবেই আলোচনার রাস্তায় হাঁটবে না৷
আরও পড়ুন- সর্বহারা জনতার পাশে একদল শিক্ষক! তুলে দিলেন দুবেলা দুমুঠো অন্ন
অধিবেশন চলার সময় প্রত্যেক বিধায়ক প্রতিদিন যাতে উপস্থিত থাকেন, দলের তরফে সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে৷ সেই মতো হুইপ জারি করবে শাসক দল৷ প্রসঙ্গত, বিধানসভায় যাওয়ার আগে নিব নির্বাচিত বিধায়কদের পাঠ দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষও৷ এবার সেই পথে হাঁটল তৃণমূলও৷