নৈহাটি: ভরদুপুরে শ্যুটআউট উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটিতে৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গৌরীপুর এলাকায়। আহত ব্যক্তি তৃণমূল সমর্থক বলে জানা গিয়েছে৷ আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷
আরও পড়ুন- যৌন হেনস্থার শিকার ৩ বছরের শিশু, গ্রেফতার প্রতিবেশী যুবক
ঘটনার পরই আহত রাজেশ সাউকে নিয়ে যাওয়া হয়েছ্লি নৈহাটি মার্তৃ সদন হাসপাতালে৷ সেখান থেকে তাঁকে এনআরএসে নিয়ে আসা হয়৷ তাঁর পিঠে গুলি লেগেছে৷ এনআরএসে আনার পর চিকিৎসকরা দ্রুত তাঁর অপারেশনের ব্যবস্থা করেন৷ কিন্তু গৌরীপুর জুটমিলের সামনে কেন গুলি চলল? যদিও তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই৷ রাজেশ সাউয়ের পরিবার জানায়, এদিন দুপুরে সন্তোষ যাদবের ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যান রাজেশ৷ এর কিছুক্ষণ পরেই তাঁরা জানতে পারেন বন্ধ পড়ে থাকা গৌরীপুর জুটমিলের সামনে কিছু দুষ্কৃতী রাজেশকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে৷ আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে নৈহাটি মাতৃ সদন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷
সন্তোষ যাদব এবং রাজেশ সাউ দু’জনেই তৃণমূল সমর্থক৷ কিছু দিন আগে এলাকায় একটি মদের ঠেক বন্ধ করাকে কেন্দ্র করে বিবাদে জড়িয়েছিলেন তাঁরা৷ সন্তোষ যাদবের ধারণা রাজেশ যাদবই পুলিশকে ওই মদের ঠেকের খবর দিয়েছিলেন৷ এবং এই মদের ঠেক ভাঙার পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল রাজেশ৷ তাই পুরনো আক্রোশ মেটাতেই রাজেশের উপর গুলি চালানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে৷
আরও পড়ুন- ২১ বছর তৃণমূল করেছি ভাবতে লজ্জা হচ্ছে, হেস্টিংসের ঘটনায় বিদ্রোহী শুভেন্দু
এই ঘটনায় নৈহাটি তৃণমূল বিধায়ক জানিয়েছেন, রাজেশ সাউ তাঁদের দলের সমর্থক হলেও এই ঘটনার পিছনে কোনও রাজনীতি নেই৷ পুরনো আক্রোশের জেরেই তাঁকে গুলি করা হয়েছে৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নৈহাটি থানার পুলিশ৷ এদিন পরিকল্পনা করেই রাজেশ সাউকে ডেকে আনা হয় জুট মিলের সামনে৷ সেখানে সন্তোষের সঙ্গে তাঁর বাচসা বাধে৷ পরে রাজেশ সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করলে তাঁকে পিছন থেকে গুলি করা হয়৷ এই ঘটনার পর থেকেই পলাতক সন্তোষ যাদব৷