কলকাতা: বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এদিন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে অনেক মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কবিগুরুর বিশ্বভারতীর ভাবনার সঙ্গে আত্মনির্ভর ভারতের প্রসঙ্গ টেনে আনেন মোদী। একইসঙ্গে দাবি করেন আত্মনির্ভর ভারতের ছবি আদতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের হাত ধরেই আঁকা শুরু হয়েছিল। যদিও প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্যে বিস্মিত হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সাংবাদিক বৈঠক করে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীকে তুলোধনা করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে বক্তব্য শুনে তিনি বিস্মিত এবং দুঃখিত।
এদিন ব্রাত্য বলেন, আজ বিশ্বভারতীর শতবর্ষ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে যা বলেছেন তা শুনে তিনি প্রচন্ড বিস্মিত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মেজদাকে বড়দা বলে সম্বোধন করেছেন, এদিকে তাঁর স্ত্রীর নাম ভুল বলেছেন। একই সঙ্গে বারবার নিজের বক্তব্যে গুজরাট সম্পর্কিত ধারণা ফিরিয়ে এনেছেন যা বিশ্বকবিকে আঞ্চলিক করতে চাওয়ার একটা প্রয়াস। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য শুনে তিনি খুব দুঃখ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ব্রাত্য।একই সঙ্গে এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ না জানানোর মতো গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন তিনি। ব্রাত্য বসুর কথায়, বিশ্বভারতীর শতবর্ষের এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এইভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে অপমান করা হয়েছে বলে দাবি করেন ব্রাত্য। তিনি স্পষ্ট জানান, গত ১৫ দিনে কোন আমন্ত্রণপত্র আসেনি রাজ্য সরকারের কাছে।
উল্লেখ্য এদিন, এই ভার্চুয়াল বৈঠকের উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল। এদিন নরেন্দ্র মোদী বলেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্বভারতী ভারতকে আত্মনির্ভরতার বার্তা দেয়। তাঁর চিন্তা, দর্শন এবং পরিশ্রমের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বপ্ন সফল করার চেষ্টা প্রতিমুহূর্তে করে চলেছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে আরও বলেন, স্বদেশী সমাজ গঠনের ডাক দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। কৃষি ক্ষেত্র থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প এবং সাহিত্যে তিনি আত্মনির্ভরতা চেয়েছিলেন। মোদীর কথায়, রবীন্দ্রনাথ যে আত্মনির্ভর ভারতের চিত্র ভেবেছিলেন তার বিশ্বকে বিপুলভাবে সুবিধা দিত।