কলকাতা: সদ্যই প্রকাশিত হয়েছে তিন রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ফল৷ ত্রিপুরায় মাটি কামড়ে লড়াই করেও ক্ষমতা দখল করতে পারেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল৷ মেঘালয়ে অবশ্য কিছুটা ফাইট দিয়েছিল ঘাসফুল শিবির৷ সে রাজ্যে তারা ‘সেকেন্ড’৷ বিজেপি সেখানে ‘থার্ড’৷ তবে সর্বোচ্চ আসন পাওয়া এনপিপি-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে ক্ষমতায় আসছে গেরুয়া দল৷ তিন রাজ্যের ফল প্রকাশ হতেই সুর চড়ালেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ তাঁর দাবি, ‘জাতীয় দলের তকমা পাওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস’। শুভেন্দুর দাবি, জাতীয় দলের তকমা পেতে হলে যে যে শর্ত পূরণ করতে হয়, তার কোনওটিই পূরণ করতে পারেনি পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল। এই মর্মে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠিও পাঠিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন- দিল্লি যাত্রা রুখতে মরিয়া কেষ্ট! একইসঙ্গে আর্জি দিল্লি ও কলকাতা হাই কোর্টে, আজই শুনানি
বিরোধী দলনেতার কথায়, জাতীয় দলের স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য বেশ কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়৷ যেগুলি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁৎ কথায়, তৃণমূল সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত আঞ্চলিক দল। তাই তৃণমূলের কাছ থেকে জাতীয় দলের তকমা কেড়ে নেওয়া উচিত। কিন্তু, জাতীয় দলের স্বীকৃতি পেতে হলে কোন কোন শর্ত পূরণ করতে হয়? সে বিষয়েও বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করেছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক৷ বিরোধী দলনেতা জানান, নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, জাতীয় দলের তকমা পেতে গেলে দেশের ৩ রাজ্য থেকে মোট লোকসভা আসনের ২ শতাংশ পেতে হয়। কিন্তু, বাংলার বাইরে কোনও রাজ্য থেকে তৃণমূলের লোকসভা সাংসদ নেই।
শুভেন্দুর আরও দাবি, জাতীয় দল হওয়ার জন্য অন্তত চারটি পৃথক রাজ্য থেকে বিধানসভা বা লোকসভা নির্বাচনে অন্তত ৬ শতাংশ বা তার বেশি ভোট পেতে হয়। যা তৃণমূলের কাছে নেই৷ এছাড়াও জাতীয় দল হওয়ার আরও একটি উপায় রয়েছে। সেটা হল চারটি রাজ্যে আঞ্চলিক দলের স্বীকৃতি হাসিল করা। এর জন্যে চার রাজ্যে ন্যূনতম ২ জন করে বিধায়ক বা ৬ শতাংশ ভোট পাওয়াটা জরুরি। সেই শর্তটাও পূরণ করতে পারেনি তৃণমূল৷ উদাহরণ হিসাবে গোয়া, মেঘালয় এবং ত্রিপুরা বিধানসভায় তৃণমূলের ফলাফল তুলে ধরেছেন বিরোধী দলনেতা।
শুভেন্দু তৃণমূলের কাছ থেকে জাতীয় দলের তকমা কাড়তে উঠে পড়ে লাগলেও, তাতে বিশেষ আমল দিতে নারাজ ঘাসফুল শিবির৷ দলের রাজ্যসভার সাংসদ ডাঃ শান্তনু কর এ প্রসঙ্গে বলেন, বড় বড় কথা বলাটা শুভেন্দুর স্বভাব। তাঁর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আগামী দিনে বাংলার মাটিতে আরও শক্তিশালী হবে তৃণমূল। সেই সঙ্গে গোয়া, ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং অসমেও গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হয়ে উঠবে ঘাসফুল শিবির।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>