কলকাতা: ফের ধাক্কা তৃণমূলে! ইস্তফা দিলেন তণমূল সাংসদ৷ রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে ইস্তফা দিলেন তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী৷ বললেন, ‘তৃণমূলে দম বন্ধ হয়ে আলছে৷ বাংলায় অত্যাচার বাড়ছে’!
আজ সংসদে দাঁড়িয়ে নিজের ইস্তা দেওয়ার ঘোষণা করেন তৃণমূল সাংসদ৷ আজ বাজেট নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল রাজ্যসভায়৷ তৃণমূলের তরফে বক্তব্য শেষ হয়ে যাওয়ার বেশ কিছুক্ষণ পর আচমকা ডেপুটি স্পিকারের কাছে কিছু বলার জন্য অনুমতি চান৷ ডেপুটি চেয়ারম্যান অনুমতি নিয়ে বলতে উঠেই পশ্চিমবঙ্গে সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ তোলেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী৷ বাংলায় যে সন্ত্রাস চলছে, তার বিরুদ্ধেও তিনি কোনও কথা বলতে পারছেন না বলেও জানিয়ে দেন৷ দলের সাংগঠনিক কাঠামো মেনে চলার জন্য তিনি বাংলার অত্যাচারের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারছেন না বলে সংসদে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেন তৃণমূল সাংসদ ত্রিবেদী৷ বাংলার অত্যাচার নিয়ে কিছু বলতে পারছেন না বলেও জানান৷ একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশংসা করেন৷ জানান, দেশে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঐহিতাসিক ভূমিকা গ্রহণ করেছেন৷
আজ রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে নিজের ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী তথা প্রাক্তন রেলমন্ত্রী৷ আজ রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে সংসদ বলেন, ‘‘আমরা জনগণের জন্যই কাজ করে থাকি৷ কিন্তু, আমার মনে হয়েছে আমরা সঠিক ভাবে কাজ করতে পারছি না৷ দলে সীমাবন্ধতার মধ্যে কাজ করতে হয়৷ তবে, আমি আমার দলের কাছে কৃতজ্ঞ, এখানে আমাকে সুযোগ দেওয়ার জন্য৷ কিন্তু আমি আমার কিছু অনুশোচনা অনুভব করছি৷ দম বন্ধ হয়ে আসছে৷ কারণ আমরা কিছু করতে পারছি না, অন্যদিকে অত্যাচার বাড়ছে৷ আমার আত্মা বলছে, বাংলায় অত্যাচার বাড়ছে৷ এখানে বসে বসে চুপচাপ থাকতে পারছি না৷ এর থেকে ভালো বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করব৷ তাই আমি এই জন্য পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করলাম৷’’
কিন্তু, আচমকা কেন এই পদত্যাগ? ফের অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূলের অন্দরে৷ সাংসদ নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিতেই পারেন, কিন্তু নিজের দলের বিরুদ্ধে সংসদে দাঁড়িয়ে সরব হওয়ার ঘটনা নজীরবিহীন বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷ সূত্রের খবর, দলের একাধিক কাজে তিনি ক্ষুব্ধ ছিলেন৷ এক সাংসদের সঙ্গে ছিল তাঁর দূরত্ব৷ আর সেই কারণে কি এই পদত্যাগ? একদা মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দের তালিকায় থাকা দীনেশ ত্রিবেদীর পদত্যাগ ও পরবর্তী সময়ে তৃণমূলের তরফে পাল্টা কী কী অভিযোগ তুলে আনা হয়, সেদিকে তাঁকিয়ে গোটা বাংলা৷ কেননা, যাঁরাই তৃণমূল ছেড়েছেন, তাঁদের নামেই কোনও না কোনও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এসেছে খোদ তৃণমূল৷ এবার কি দীনেশ ত্রিবেদীর পালা?