tmc
কলকাতা: তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে দিল্লি অভিযানের ঘোষণা করেছিলেন। ২-৩ অক্টোবর রাজধানী দিল্লিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি করার কথা ঘাসফুল শিবিরের। সেই কর্মসূচির ৬ দিন বাকি থাকলেও প্রস্তুতি একেবারে তুঙ্গে। মঙ্গলবার থেকে এই কর্মসূচির চূড়ান্ত পর্যায়ের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। সমাজমাধ্যমে ছবি, ভিডিও ছাড়তে শুরু করে দল।
রাজ্যের পাওনা টাকা এবং একাধিক কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে এই ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে তৃণমূলের এই দিল্লি অভিযান। ২ অক্টোবর গান্ধীজয়ন্তীতে রাজঘাটে জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের পর ধর্নায় বসবেন তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা-নেত্রী ও সাংসদরা। তাঁদের সঙ্গে বাংলা থেকে রাজধানীতে পৌঁছবে বিপুল সংখ্যক সমর্থক৷ এছাড়া ৫০ হাজারের বেশি চিঠি কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর দফতরে দেওয়ার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। এই অভিযানে দলের সমস্ত সাংসদ, বিধায়ক এমনকী পঞ্চায়েত প্রধানদেরও যোগ দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে নিয়ে যাওয়া হবে ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকদেরও৷ জানা গিয়েছে, নিজেদের খরচে তাদের দিল্লি নিয়ে যাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা।
তবে ইতিমধ্যেই এই দিল্লি যাত্রা নিয়ে ধেয়ে এসেছে বিজেপি শিবিরের কটাক্ষ। সূত্রের খবর, দিল্লি যাত্রার উদ্দেশে আস্ত একটা ট্রেন নাকি বুক করে ফেলেছে এ রাজ্যের শাসক দল। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই রে রে করে উঠেছে বিরোধীরা। গোটা ট্রেন বুকিংয়ের খরচ নিয়ে কটাক্ষ করেছে গেরুয়া শিবির। তৃণমূলের অভিযোগ, নির্বাচনী লড়াইয়ে এঁটে উঠতে না পেরে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে কেন্দ্র৷