কলকাতা: বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল আসন পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। হ্যাট্রিক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের সমস্ত বিজেপি বিরোধী নেতৃত্ব দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছেন ‘দিদিকে’। আপাতত যা চিত্র ফুটে উঠছে তাতে জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী প্রধান মুখ হয়ে উঠেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তাই তৃণমূল কংগ্রেসও মমতার দিল্লি যাওয়া নিয়ে চূড়ান্ত আশাবাদী। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে তারা। যেখানে দাবি করা হচ্ছে ‘ফাইটার দিদি এবার দিল্লিতে’।
মা – মাটি – মানুষ জিন্দাবাদ!
জয় বাংলা!#TMC200Paar #Didi #TrinamoolCongress #BanglarGorboMamata pic.twitter.com/W7QOIToHyR— Banglar Gorbo Mamata (@BanglarGorboMB) May 2, 2021
২০১১ সালের লড়াইটা ছিল ৩৪ বছরের একটা সরকারকে ধুলিস্মাৎ করে বাংলায় ক্ষমতায় আসার লড়াই। এই লড়াইতে অবশ্য বামপন্থীদের প্রতি বীতশ্রদ্ধ বাংলার মানুষ অনেকটাই সাহায্য করেছিল তৃণমূলকে। কিন্তু ‘২১ সালের লড়াইটা ছিল প্রেস্টিজের। ‘১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে বাংলায় ওঠা প্রবল বিজেপি ঝড়কে স্তব্ধ করে নবান্নের গদি বজায় রাখার চ্যালেঞ্জ। আর সেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত হেলায় উড়িয়ে দিলেন প্রতিদ্বন্দ্বি বিজেপিকে। যেমন বলেছিলেন তেমনটাই করলেন। ২০১১ এবং ২০১৬ থেকেও বেশি আসন নিয়ে সরকার গড়ছে তৃণমূল কংগ্রেস।
হিসেব বলছে, একুশের ভোটের প্রচারে বাংলায় মোট ১৫টি জনসভা করেছেন নরেন্দ্র মোদী। সভা ও রোড শো মিলিয়ে মোট ৬২টি কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ । আর অন্যান্য রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীরা বাংলায় এসে মোট ১০৫টি প্রচার কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন। এই সব কিছুর মূলে একটাই লক্ষ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হার। যেন তেন প্রকারেণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাতেই হবে বাংলার গদি থেকে। কিন্তু এই ম্যারাথন জনসভা, রোড শো করেও ইভিএম মেশিনে প্রবল ব্যর্থ ভাজপা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গদি থেকে সরানো তো দূরের কথা, একচুল নড়াতেও পারেননি বিজেপির বড় বড় নেতারা। ভোটের সময়ে সব কাজ ফেলে করোনার দায়িত্ব এড়িয়ে দিনের পর দিন বাংলায় ‘ডেইলি প্যাসেঞ্জারি’ করে আখেরে লাভ কিছুই হল না। বাংলার মানুষ ‘সাম্প্রদায়িক’ বিজেপিকে রুখতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরেই পূর্ণ আস্থা দেখাল। তাই এবার মনে করা হচ্ছে, জাতীয় স্তরেও ‘দিদি’ বড় রকমের প্রভাব ফেলবেন।