কলকাতা: এখন যেন ভোটের মরশুম চলছে। কলকাতা পুরভোটের পর চার কেন্দ্রের ভোট ঘোষণা হয়েছে, যা আবার তিন সপ্তাহ পিছিয়েছে। এরই মাঝে আবার বাংলার শাসক শিবিরের অন্দরে নির্বাচনের দামামা বেজে উঠল। আগামী মাসেই তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচন। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এমনই ঘোষণা করেছেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আগামী ৩১ মার্চ ঘোষিত হবে নতুন কার্যকরী সমিতি।
তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর এবং দলের জয়ের হ্যাট্রিকের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় স্তরে রদবদল করেছেন। তাঁর অনুমতির পরেই দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে এসেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ভোটের প্রেক্ষিতে দলীয় স্তর থেকে সর্বস্তরের নেতা ঠিক করতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে ঘাসফুল শিবিরের পক্ষ থেকে। এই বিষয়ে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আগামী ২ ফেব্রুয়ারি হবে তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচন। তার পর থেকে প্রত্যেক বুথ কমিটি থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচন চলবে মাস জুড়ে। পরে ৩১ মার্চের মধ্যে দলের সর্বস্তরে সাংগঠনিক নির্বাচন সেরে ফেলা হবে। এই গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়া কোভিড বিধি মেনে হবে বলেই জানিয়েছেন তিনি।
আসলে এখন জাতীয় স্তরে দলকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রচেষ্টা করে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে ত্রিপুরায় পুরভোটে লড়েছে মমতা বাহিনী, আবার গোয়া বিধানসভা নির্বাচনেও লড়ার পুরোপুরি প্রস্তুতি নিচ্ছে মমতার দল। তাই মনে করা হচ্ছে, উত্তরপ্রদেশকেও বাদ রাখবে না তারা। যোগী রাজ্যেও ভোটে অংশ নিতে চাইছে বাংলার শাসক দল। তারই মাঝে সর্বস্তরে সাংগঠনিক নির্বাচন সেরে আরও একটু শক্ত হতে চাইছে তৃণমূল। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে শেষবার তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচন হয়েছিল।