কলকাতা: আজকের ফলাফল বলছে ল্যান্ডস্লাইড ভিক্ট্রি পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভা ভোট এবং উপনির্বাচনের থেকেই ভোট শতাংশ বেড়েছে তৃণমূলের। যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। আর তার থেকেও বড় বিষয়, তৃণমূলের দ্বিতীয় প্রজন্মও বিরাট সাফল্য পেয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক সময় বলেন যে, দলের আগামী প্রজন্ম প্রস্তুত রয়েছে। আজ হয়ত সেটাই প্রমাণিত হল।
এবারের পুরভোটে লড়েছেন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খানের ছেলে ফৈয়াজ, রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজার মেয়ে পূজা, নগরোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের ছেলে সৌরভ, প্রয়াত বামনেতা ক্ষিতি গোস্বামীর মেয়ে বসুন্ধরা। সকলের ক্ষেত্রেই জয়জয়কার ব্যাপার। অর্থাৎ, তৃণমূলের আগামী প্রজন্ম বিরাট সাফল্যের সঙ্গেই নিজেদের রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করল। কার্যত চমক দিয়ে এবার অনেক নতুন মুখকে প্রার্থী করেছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এখন ভোটের ফলে দেখা যাচ্ছে তারা কিছুই ভুল সিদ্ধান্ত নেয়নি।
গত ১০ বছর ধরে বিপুল পরিচিতি পেয়েছেন শশী পাঁজা। রয়াত অজিত পাঁজার পুত্রবধূ হিসেবে রাজনীতিতে আগমন হয়েছিল তাঁর। এবার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁর আইনজীবী কন্যা পূজাকে প্রার্থী করেছিল দল। অন্যদিকে, ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডে রাজ্যের আর এক মন্ত্রী চন্দ্রিমার ছেলে সৌরভকে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। চন্দ্রিমা নিজে বাংলার রাজনীতিতে কতটা পরিচিত তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। আবার কসবার বিধায়ক তথা মন্ত্রী জাভেদ খানের ছেলে ফৈয়াজ আহমেদ খান গত বারের মতোই এ বারেও ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন। ওই ওয়ার্ডেই ১৫ বছর এবং ৫ বছর কাউন্সিলর ছিলেন তাঁর বাবা এবং মা। ওদিকে, প্রয়াত আরএসপি নেতা তথা বাম জমানার মন্ত্রী ক্ষিতির মেয়ে বসুন্ধরাকে নিয়ে তো প্রথম থেকেই চর্চা তুঙ্গে ছিল। ৯৬ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁকে প্রার্থী করেছিল শাসক শিবির।