কলকাতা: গত সোমবার নারদ মামলায় রাজ্যের ৪ হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। আজ সেই মামলার শুনানি চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। তবে এরই মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য সাংসদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার নজরে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, অপরুপা পোদ্দার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বর্তমান বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী! এই প্রেক্ষিতেই এবার জল্পনা শুরু হয়েছে যে সিবিআইয়ের নজর থেকে বাঁচতে নারদ মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা কী পদক্ষেপ নেবেন।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বর্তমান যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তার দিকে নজর দিয়ে অভিযুক্ত সাংসদরা আগাম জামিনের আবেদন করতে পারেন। এই পরিস্থিতিতে এই পদক্ষেপ নেওয়াটাই সবচেয়ে স্বাভাবিক ব্যাপার। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযুক্ত সাংসদদের মধ্যে অনেকেই কোনরকম পদক্ষেপ নিতে চান না। বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী সহ তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সৌগত রায়, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়র বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার জন্য চিঠি দিচ্ছে সিবিআই। বিধানসভার অধ্যক্ষকে এই ইস্যুতে চিঠি পাঠাচ্ছে তারা। এর আগে ২০১৯ সালে অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছিল সিবিআই। এরপর আরও তিনবার অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছিল সিবিআই বলে জানা গিয়েছে। এবার এই মামলায় চার নেতা মন্ত্রীর গ্রেফতারির পর ফের চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
এদিকে শুরু হয়ে গিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে নারদ মামলার শুনানি। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে চলছে শুনানি। রাজ্যের তার হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায় জামিন পাবেন কিনা, সে দিকেই তাকিয়ে গোটা রাজ্য৷ সোমবার নিম্ন আদালত এই চার নেতাকে জামিন দিলেও, তাতে স্থগিতাদেশ জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট৷