রাজ্যপালের অপসারণ চাই! রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপি দিলেন তৃণমূল সাংসদরা

তাঁর অপসারণ চেয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে স্মারকলিপি দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা!

b1d124fcc39c377965b9967f6a39afad

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে বাদানুবাদ নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। একাধিক বিষয়ে বারংবার রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছেন তিনি। এখনো সেই সংঘাতের আবহ বর্তমান। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার তথা তৃণমূল কংগ্রেস বারবার অভিযোগ জানিয়েছে যে, রাজ্যপাল বিজেপির হয়ে কথা বলেন। প্রত্যেকটি বিষয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে আদতে তিনি বাংলার উন্নয়ন রোধের চেষ্টা করছেন। এবার পশ্চিম বাংলার রাজ্যপাল পদ থেকে তাঁর অপসারণ চেয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে স্মারকলিপি দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা! তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় সহ এই স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং কাকলি ঘোষ দস্তিদার।

রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের অপসারণের দাবি নিয়ে যে স্মারকলিপি পাঠানো হয়েছে তাতে লেখা হয়েছে, “আমাদের এই মর্মে আবেদন, রাজ্যপাল দেশের সংবিধানকে রক্ষা করতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন এবং সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে তা অমান্য করেছেন একইসঙ্গে আইন লংঘন করেছেন”। সম্প্রতি কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ প্রসঙ্গে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনি দাবি করেছিলেন, একাধিকবার রাজনৈতিক কারণে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি যা গণতন্ত্রের বিপরীতে কাজ করে। সেই সমস্ত পদক্ষেপ বাংলার গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিঘ্নিত করেছিল এবং আইন লংঘন করেছিল। সেই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন পাল্টা আক্রমণ করেছিলেন রাজ্যপালকে। এবার সরাসরি তাঁর অপসারণ চেয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে চিঠি লিখে ফেললেন তৃণমূল সাংসদরা। অবশ্য ভাবে বলা যায়, বাংলার রাজনৈতিক মহলে এটি নতুন ভাবে বিতর্ক সৃষ্টি করবে।

 

রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় বলেন, প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ এমন কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিলেন যা সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। পোস্টিং, ট্রানস্ফার এবং তদন্তের বিষয়ে তাঁর সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তিনি আরো বলেন, এই ঘটনা অবশ্যই গণতন্ত্রকে হত্যা করে। রাজ্য পুলিশের রাজনৈতিকভাবে নিজেদের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত একেবারেই অনৈতিক। এই ধরনের ঘটনা পুলিশের নিয়ম এবং সংবিধানকে ব্যাহত করে, খণ্ডন করে। রাজ্যপালের কথায়, রাজনৈতিক কাজ থেকে পুলিশকে ধরে রাখলেই গণতন্ত্র বাঁচবে। সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করা এই সমস্ত মানুষ যদি রাজনৈতিক কর্মীতে পরিণত হয় তাহলে সেটা দুঃখ জনক। এই ধরনের কোন ঘটনা ঘটলে অবশ্যই তার শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।  এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পাল্টা মুখ খুলেছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। তিনি টুইট করে বলেন, ‘আপনাকে পাত্তা দিই না, কিন্তু এবার আপনি সব সীমা ছাড়িয়ে ফেলেছেন। আপনি শুধুমাত্র আপনার প্রভুর হয়ে কথা বলেন! আপনি যে পদে রয়েছেন সেই পদ আপনার জন্য অপমানিত। কোন প্রমাণ ছাড়াই আপনি আপনার রাজনৈতিক প্রভুদের কথায় বাংলাকে অপমান করছেন, এদিকে বাংলার আতিথেয়তা পেয়ে বাংলাতেই থাকছেন। আপনার লজ্জা হওয়া উচিত’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *