কলকাতা: তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ নুসরতের সঙ্গে নব্য বিজেপি নেতা যশের সম্পর্ক নিয়ে কানাঘুষা শুরু হয়েছিল বেশ কয়েক দিন ধরেই। তবে এখন তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই আরো বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে দুজনের সম্পর্ক নিয়ে। উল্লেখযোগ্য ব্যাপার, বিজেপিতে যোগ দিয়ে অভিনেতা যশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে দাবি করেন তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে তাঁর আশীর্বাদ চেয়েছিলেন। একইসঙ্গে নুসরতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয় নিয়েও মুখ খুললেন যশ। এবার মুখ খুললেন নুসরত স্বয়ং। বললেন, যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকার তারা চিরকাল থাকবে।
বিজেপিতে নাম লেখানো অভিনেতা তথা সহকর্মী যশের প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে নুসরত বলেন, যারা যাচ্ছে তারা যাক, যারা দিদিকে ভালোবাসে তারা চিরকাল তাঁর পাশে থাকবে। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ এর এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশে। কারণ বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর যশ যে সৌজন্যের বার্তা দিয়েছিলেন, এদিন নুসরতের কথায় কার্যত সেইরকম কোন ব্যাপার প্রকাশ পায়নি। প্রসঙ্গত, বিজেপি নেতা হিসেবে প্রথম সাংবাদিক বৈঠক করেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেন যশ! মন্তব্য করেন, তিনি দিদিকে খুবই সম্মান করেন এবং তাঁকে খুব ভালোবাসেন। সাংবাদিক বৈঠক করে যশ বলেন, “দিদিকে নিয়ে আমার মনে শ্রদ্ধা আছে, ওই মহিলাকে আমি খুব ভালোবাসি। আমি এখনও বলি আমি ওনার ভাই। আজ আমি বিজেপিতে যোগ দিয়েছি বলে ওনার নামে ভুল মন্তব্য করবো এমনটা নয়। আজও আমি ওনাকে পাঠিয়েছি সকালবেলা যে, দিদি আমাকে আশীর্বাদ করবেন।”
এর পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ নুসরতকে নিয়ে মন্তব্য করেন যশ। তিনি বলেন, নুসরতের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব সম্পূর্ণ অন্য জায়গায়। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এর কোনো প্রভাব না পড়াই উচিত। ইন্ডাস্ট্রিতে তৃণমূল কংগ্রেস বলে কাজ পাওয়া যাবে আর বিজেপি বলে কাজ পাওয়া যাবে না এমনটা নয়। কে কোন দল করবে সেটা সম্পূর্ণ তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এর পাশাপাশি তিনি একটা ব্যাপার স্পষ্ট করে দেন যে, কাজ করার জন্যই তিনি বিজেপিতে যোগদান করেছেন। তিনি মনে করেন বিজেপি যুব সমাজকে সুযোগ দেয় তাই এই দলে থেকেই তিনি সমাজ এবং সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে পারবেন। তিনি আরো বলেন, সিস্টেমের বদল আনতে গেলে সিস্টেমে আসতে হবে, সেই কারণেই তাঁর বিজেপিতে যোগদান। এই প্রেক্ষিতে বলা যায় ভোটের আগেই কার্যত দুই ভাগ হয়ে গিয়েছে টলিপাড়া।