কলকাতা: ঠিক দু’দিন আগে অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি রাজ্য সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্য পেশ করেছিলেন তার কিছুটা অংশ তুলে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়ে তার প্রশংসা করেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। আর আজ রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে আচমকা ইস্তফা দিলেন দীনেশ ত্রিবেদী। এই আচমকা ইস্তফা মানতে পারছে না তৃণমূল কংগ্রেস। তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যেও৷
আরও পড়ুন: তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েও বিদ্রোহী বিধায়ক! সাংসদের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ বিশ্বজিৎ
এই ইস্তফা প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘‘আমি দুঃখিত৷ দীনেশবাবু আগে দলের কাউকে পদত্যাগ করার কথা জানাননি৷ গত রবিবারও ওঁর সঙ্গে দিল্লিতে গিয়েছিলাম৷ তখনও উনি ওঁনার অসন্তোষের কথা বলেননি৷ কোনও ভাবেই দলকে কিছু বুঝতে দেননি৷ উনি ইস্তফা দেবেন কেউ বুঝতে পারেনি৷ তবে দু’একজনের কাছে ক্ষোভ করেছিলেন বলে জানা গিয়েছিল৷’’ এদিকে সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় তাঁকে কার্যত একহাত নিয়েই মন্তব্য করে বলেন, ‘‘এদিন রাজ্য সভায় নজির বিহীন ভাবে সময় শেষ হওয়ার পরেও ওঁনাকে বলতে দেওয়া হয়েছে৷ এটা বিস্ময়কর৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে পরাজিত হওয়ার পর দিদির পায়ে এসে বলেছিলেন আমাকে উদ্ধার করুন৷ আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে৷ তাঁকে উদ্ধার করে রাজ্যসভায় পাঠানো হল৷ এখন ফের বলছেন দম বন্ধ হয়ে আসছে৷ এত ঘন ঘন দমবন্ধ হয়ে গেলে মুশকিল৷ শারীরিক অসুস্থতার কারণে নাকি রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য দলত্যাগ করলেন, সেটা উনিই জানেন৷’’
আরও পড়ুন: ‘অবাক নই’, দীনেশের ইস্তফা প্রসঙ্গে রাজীব, বৈশালীর নিশানায় সেই ‘উইপোকারা’
এদিন রাজ্যসভায় ইস্তফা দেওয়ার সময়ও বিজেপি সরকারের প্রশংসা করেন দীনেশ ত্রিবেদী। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে গোটা বিশ্ব ভারতের দিকে তাকিয়ে ছিল যে, তারা কি করবে আর কি করতে পারে তা দেখার জন্য। সবাই মিলে একজোট হয়ে সেই পরিস্থিতির দুর্দান্তভাবে সামাল দেওয়া গিয়েছে কিন্তু সকলের নেতা ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মন্তব্য করেন দীনেশ। তাঁর কথা থেতেই পরিস্কার, কার্যত কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ এবং প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বকে কুর্নিশ জানিয়েছেন তিনি। তাই আগামী দিনে বিজেপিতে গেলে অবাক হওয়ার মত কিছু থাকবে না বলেই ধারণা অনেকের।