ভোটের আগেই গ্রেফতার হতে পারেন একাধিক তৃণমূল নেতা! ফের উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম

গোটা ঘটনায় শাসকদল শুভেন্দু অধিকারীর চক্রান্তের সন্দেহ করছে

নন্দীগ্রাম: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে লড়াই করার কথা ঘোষণা করেছেন নন্দীগ্রাম থেকে। উল্টোদিকে তাঁর বিপরীতে গেরুয়া পতাকা হাতে থাকছেন তাঁরই প্রাক্তন সেনাপতি শুভেন্দু অধিকারী। এহেন হাইভোল্টেজ নন্দীগ্রামের রাজনৈতিক জটিলতাই এখন ভোট পূর্ববর্তী বাংলার নয়া উত্তাপ। সেই উত্তাপের আবহেই এবার নন্দীগ্রামকে ঘিরে ফের শুরু হল বিতর্ক।

ভোটের আগে নন্দীগ্রামের একাধিক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা গ্রেফতার হতে পারেন, এদিন এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। জানা গেছে নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলন পর্বের একাধিক মামলা গত জুন মাসে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সমস্ত মামলা ভোটের মুখে এবার পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছে হলদিয়া মহকুমা আদালত। আর তাতেই বিপাকে পড়তে চলেছেন একাধিক ঘাসফুল নেতা। সোমবার আদালতের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হলে ভোট বাজারে উত্তপ্ত নন্দীগ্রামে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

এদিন হলদিয়া মহকুমা আদালতের বিচারপতি জানিয়েছেন জমি আন্দোলন পর্বের মামলায় যাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল, অথচ জামিন নেননি, তাঁদের বিরুদ্ধে ফের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে। আর যাঁরা জামিন নিয়েছেন, তাঁদের আবার পাঠানো হবে শমন। এই পরিস্থিতিতে আদালতের নির্দেশে বিপাকে পড়তে চলেছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ান। এছাড়া আবু তাহের, শেখ শাহবুদ্দিনসহ এলাকার বহু স্থানীয় তৃণমূল নেতার গ্রেফতারের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, কারণ তাঁরা জামিন ছাড়াই মুক্তি পেয়েছিলেন।

সূত্রের খবর, এই সমস্ত তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে খুন, অপহরণ, মারধরের মামলা রয়েছে। পুলিশি চার্জশিটে মোট ১৫০ জনকে পলাতক দেখানো হয়েছিল। মামলা প্রত্যাহার করা হলে তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই নেননি জামিন। গোটা ঘটনায় তৃণমূল অভিযোগের আঙুল তুলেছে এলাকার প্রাক্তন ঘাসফুল তথা বর্তমান বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর দিকে। অভিযোগ, তিনিই কলকাঠি নেড়ে ভোটের আগে শাসকদলকে বিপাকে ফেলতে চাইছেন। অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − 17 =