কলকাতা: বিজেপির রাজ্য কমিটিতে সদস্য কারা থাকবেন তা গতকাল ঘোষণা হতেই ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়েছেন নেতা সায়ন্তন বসু। দীর্ঘ দিন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদে থাকা সায়ন্তন কমিটির কোনও পদে জায়গা পাননি। বিজেপি সুত্রের খবর, এর পরেই তিনি দলের সব হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। সেই সঙ্গে ঘনিষ্ঠমহলে নিজের ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন। জল্পনা বাড়তে শুরু করেছে তাঁকে নিয়ে। তাহলে কি দলবদল করতে চলেছেন তিনি? সেই প্রশ্নকে আরও বেশি প্রাধান্য দিল আরও একটি ঘটনা। তৃণমূল নেতারা গেলেন তাঁর বাড়িতে! তবে ব্যাপারটা কী?
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এক জন তৃণমূলের বর্তমান বিধায়ক এবং এক জন প্রাক্তন বিধায়ক সহ কয়েকজন নেতা সায়ন্তন বসুর বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁদের মধ্যে একাধিক বিষয় আলোচনাও হয়েছে। তবে দলবদলের জল্পনা সৃষ্টি হলেও আপাতত যে তেমন কিছু ব্যাপার হচ্ছে না তা স্পষ্ট। তৃণমূল নেতারাই বলছেন যে তারা সৌজন্যমূলক সাক্ষাতকারে গিয়েছিলেন। তাই এখনি এই বিষয় নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট উপসংহার গঠন করা যাবে না। উল্লেখ্য, শুধু সায়ন্তন নন, দলের প্রবীণ নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, রীতেশ তিওয়ারি, জয়প্রকাশ মজুমদাররাও কোনও পদ পাননি এই কমিটিতে। বাদ পড়েছেন বিজেপির আরও দুই সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সিংহ এবং রথীন্দ্র বসু।
কলকাতা পুরভোটে বিশ্রী হারের পর দলীয় স্তরে আবার পরিবর্তন করেছে বিজেপি। এমনতেই ভোটের ফল নিয়ে তাদের বিরাট অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে কারণ বিধানসভার নিরিখে খারাপ ফল করেছে তারা। আসন তো বটেই, ভোট শতাংশ কমেছে। অধিকাংশ ওয়ার্ডে তারা লড়াই করেছে শুধু দ্বিতীয় হওয়ার জন্য। তবে চাঞ্চল্যকর ব্যাপার এই যে, কমপক্ষে ৩ টি বিধানসভায় চতুর্থ হয়ে গিয়েছে বিজেপি! অন্যদিকে, কলকাতা পুরভোটে জামানাত জব্দ হয়েছে ৭৩১ জন প্রার্থীর৷ ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭টি ওয়ার্ডে ৯০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা৷