কলকাতা: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সরগরম বাংলার রাজনৈতিক মহল। এ রাজ্যে সুষ্ঠুভাবে ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে যাতে ভোট অনুষ্ঠিত হতে পারে, তার জন্য সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসে পৌঁছেছে প্রচুর সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই আবহেই ভোট গণনায় আরো স্বচ্ছতা আনার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বনগাঁর তৃণমূল নেতা গোপাল শেঠ।
রাজ্য জুড়ে সমস্ত কেন্দ্রে ভিভিপ্যাট গণনা পদ্ধতি চালু করার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিধানসভা কমিটির চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ। কিন্তু এদিন তাঁর মামলা খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, সমস্ত কেন্দ্রে ভিভিপ্যাট গণনার কোনো প্রয়োজন নেই। বলা বাহুল্য, আদালতের এই পর্যবেক্ষণে খুব একটা সুখকর হয়নি শাসক শিবিরে৷
জানা গেছে, পুরোদমে রাজ্যে ভিভিপ্যাট গণনা চালু করার আর্জি নিয়ে এর আগে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গোপাল শেঠ। কিন্তু কমিশন ঘাসফুল নেতার সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেয়। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের এক সদস্যবিশিষ্ট ডিভিশন বেঞ্চে ওই একই মর্মে মামলা করা হয়। সূত্রের খবর, সেই মামলাও খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ গোপাল শেঠের মামলার পর্যবেক্ষণে জানায়, ”এ ব্যাপারে মামলাকারী নির্বাচন কমিশনকে যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন তা খারিজ করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের ঐ সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করার কোনো প্রয়োজন আমরা দেখছি না।” পাশাপাশি সিঙ্গেল ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের কথাও উল্লেখ করেন বিচারপতি।
বস্তুত, রাজ্যের বেশ কিছু এলাকায় স্বল্প সংখ্যক ভিভিপ্যাট গণনার কথা জানিয়েছে স্বয়ং সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু মামলাকারী গোপাল শেঠের বক্তব্য ছিল অল্প কিছু জায়গায় না করে সমস্ত গণনাই হোক ভিভিপ্যাটে। তাতে নির্বাচনী গণনায় আরো বেশি স্বচ্ছতা আসবে বলেই মনে করেছিলেন তিনি। কিন্তু ভোটের মুখে তাঁর আর্জি শুনল না আদালত। গণনার ক্ষেত্রে জারি থাকল পুরোনো নিয়মই।