‘সিপিএমকে ভোট দিলে হাত কেটে নেব’! তুমুল উত্তেজনা বীরভূমে

‘সিপিএমকে ভোট দিলে হাত কেটে নেব’! তুমুল উত্তেজনা বীরভূমে

961f7b5acbdbfc1ae6cb52bab6cc26b8

নানুর: সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, স্থানীয় তৃণমূল নেতা নুরমান শেখ সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীকে হুমকি দেন, “সিপিএমকে ভোট দিলে হাত কেটে নেব”! এই খবর সামনে আসার পরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা বীরভূম জেলা জুড়ে। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই হুমকির কথা অস্বীকার করেননি খোদ ওই তৃণমূল নেতা! তাঁর যুক্তি, বহিরাগতদের নিয়ে এসে ভোট করানোর হুমকি দিয়েছিল ওই সিপিএম নেতা, সেই কারণে তিনি এই হুমকি দিয়েছেন। ‘সিপিএমকে ভোট দিলে হাত কেটে নেব’! তুমুল উত্তেজনা বীরভূমে।

কারণ যাই হোক না কেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতার এই হুমকিকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই উত্তপ্ত হয়েছে নানুর। অন্য এক সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ী অবিলম্বে ওই তৃণমূল নেতা গ্রেফতারি দাবি করেছেন এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপের দাবি করেছেন। আরও জানা গিয়েছে, সিপিএমের প্রার্থী শ্যামলী প্রধান ওই এলাকায় নির্বাচনী প্রচার করতে গেলে তাকে ঘিরে ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী এবং সর্মথকরা। চিৎকার করে প্রশ্ন করা হয় যে তিনি বিগত পাঁচ বছর ধরে কোথায় ছিলেন, একইসঙ্গে বলা হয় তিনি শুধুমাত্র এখানে ভোটের প্রচারে এসেছেন কিন্তু সাধারণ মানুষের কোন কাজে কখনও আসেননি। বাধার সম্মুখীন হয়ে সিপিএম প্রার্থী সেখান থেকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে সেই মুহূর্তে তাঁকে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়ে বলা হয়, এখানে সিপিএমকে কেউ ভোট দেবে না আর যদি কেউ দেয় তাহলে তার হাত কেটে নেওয়া হবে! স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার প্রেক্ষিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্যে। এমনকি এই ঘটনার ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

সম্প্রতি উস্কানি মূলক মন্তব্যের জন্য খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন। একইসঙ্গে প্ররোচনামূলক মন্তব্যের কারণে নোটিস পাঠানো হয়েছিল বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও। আবার বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহার প্রচারে দুদিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এবার এই তৃণমূল নেতার বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন তার দিকেই তাকিয়ে সকলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *