কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় শাসকদলের অন্দরে শুরু মতপার্থক্য৷ কলকাতা পুরসভার প্রশাসক তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন রাজ্যের রাজ্যের ক্রেতা-সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে৷ ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় তাঁর কোনও পরামর্শ নেওয়া হয়নি বলেও ববির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন পাণ্ডে৷ পাল্টা দিয়েছেন প্রশাসক৷ বিপর্যয়ের সময় কেন সাধন-দা নিজে এসে যোগাযোগ করলেন না? ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় শাসকের দু’মন্ত্রীর বাকবিতণ্ডাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে নয় রাজনৈতিক জল্পনা৷
ঝড়ের তাণ্ডবের ছ’দিন কাটতে চললেও এখনও অব্যাহত সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ৷ বহু এলাকায় এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছাতে পারেনি৷ জল সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বহুতলে৷ জল-বিদ্যুতের দাবিতে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ আর এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এবার খোদ পুরসভার প্রশাসককে কাটগড়ায় তুললেন রাজ্যের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে৷
আরও প্রস্তুতি দরকার ছিল৷ পুরসভা তা করেনি৷ বিধায়কদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করেননি প্রশাসক৷ এখন ‘এনাফ ইজ এনাফ’ বললে চলবে না বলেও মন্তব্য করেছেন ক্রেতা-সুরক্ষা মন্ত্রী৷ সরাসরি প্রশাসনককে বিঁধে সাধন পাণ্ডে জানিয়েছেন, যখন ৫ হাজার গাছ ভেঙে পড়ল, তখন বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ডেকে, বিধায়কদের ডেকে তাঁদের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন ছিল৷ কিন্তু বর্তমান প্রশাসক সেই সেই পথে হাঁটেননি বলেও অভিযোগ সাধন পাণ্ডের৷
পাল্টা দিয়েছেন পুরসভার প্রশাসক৷ রাস্তায় নেমে কাজ করছি৷ বাড়ি বসে বড় বড় কথা বললে হবে না৷ সমালোচনা করা সহজ, কাজ করা কঠিন, জানিয়েছেন ফিরহাদ৷ কলকাতায় সিইএসসির একার আধিপত্ত চলছে৷ মুম্বাইয়ের মতো কলকাতাতেও একাধিক বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার বরাত দেওয়া হবে না কেন? তাদের মধ্যে কোন প্রতিযোগিতা থাকবে না? প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে৷ যত দ্রুত সম্ভব পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য সিইএসসিকে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন প্রশাসক ফিরহাদ৷ ৯৭ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে, দাবি করেছে সিইএসসি কর্তৃপক্ষ৷