কলকাতা: চাপড়ার তৃণমূল নেতা রাজীব শেখের দুই বউ৷ দুই বউয়ের জন্য তৈরি করা হয়েছে দুটি পেল্লাই বাড়ি৷ করিমপুর-কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়কের কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে রয়েছে বাড়ি দুটি৷ স্থানীয় লোকজন মজা করে বলেন জোড়া তাজমহল৷
আরও পড়ুন- দল বদলের ব্যাখ্যা জারি রেখেছেন অর্জুন, অখুশি সৌগত
তৃণমূল বাংলায় ক্ষমতায় আসার আগে রাজীবের বাবা কাংলা শেখ ছিলেন পেট্রল পাম্পের নৈশপ্রহরী বা নাইট গার্ড৷ তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরেই উল্কার গতিতে উত্থান ঘটে কাংলা-রাজীবের৷ বাম আমলে সিপিএমের দাপটের মধ্যেও রাজীবের হাত ধরেই চাপড়া বাঙ্গালঝি কলেজে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ২০০৮ এবং ২০০৯, পর পর দু’বছর ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন রাজীব। ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদল ঘটে৷ তৃণমূল প্রার্থী রুকবানুর রহমান চাপড়া বিধাযনসভা থেকে জয়ী হতেই ভাগ্যের চাকা ঘোরে রাজীবের। রুকবানুরের ডান হাত হয়ে ওঠেন রাজীব।
তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূলেরই একাংশের অভিযোগ, পুরনো কর্মীদের সরিয়ে এলাকায় ক্ষমতা দখল করেছেন রাজীব৷ ক্ষমতায় বসেছে তাঁর গোটা পরিবার৷ রাজীবের বড় বৌ আসমাতারা বিবি চাপড়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। বাবা কাংলা শেখ কিছু দিন আগে পর্যন্ত ছিলেন তৃণমূলে অঞ্চল সভাপতি। রাজীব নিজে ছিলেন চাপড়া ব্লকের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি। ওজন হিসাবে এই পদ খুব বড় না হলেও তাঁর মাথার উপর রয়েছে বিধায়কের হাত৷ আর তাতেই ফেঁপেফুলে উঠেছেন রাজীব৷ পঞ্চায়েত সমিতি থেকে গ্রাম পঞ্চায়েতের ঠিকাদারির রাশ ছিল কার্যত রাজীবেরই হাতে। নিজেও ঠিকাদারির কাজ করতেন৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে সেই বৈভব?
রাজীবের দুই স্ত্রীর দুই বাড়ি মার্বেলে মোড়া৷ বড় বউয়ের বাড়িটে একটু বড়৷ নীচের তলায় রয়েছে সুসজ্জিত হলঘর, দোতলায় একাধিক ঘর, আধুনিক সরঞ্জামে পরিপূর্ণ৷ দ্বিতীয় স্ত্রীর বাড়ির নকশা প্রায় এক। তবে উপরে একটা ঘর কম রয়েছে তাঁর। দুই তাজমহল সাজাতে কোনও কার্পণ্য করেননি রাজীব৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>