কাঁথি: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অধিকারী গড়েই তৃনমূলের গোষ্ঠী কোন্দল এবার প্রকাশ্যের এল। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য অনুসরণ করলেন দাপুটে তৃণমূল নেতা তথা কাঁথি ১ ব্লকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রদীপ গায়েন৷ ওই তৃণমূল নেতা বক্তব্যের পর জেলা নয় রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়েছে।
দল বদলের পর থেকে শুভেন্দু যেভাবে অভিষেককে ভাইপো বলে কটাক্ষ করা শুরু করেছেন সেই ঢঙেই অখিল গিরির পুত্র সুপ্রকাশ গিরির রাজনৈতিক যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কাঁথি-১ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রদীপ গায়েন৷ রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি ও জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুপ্রকাশ গিরির নামোল্লেখ না করে ইঙ্গিত বলেছেন, ‘‘যাদের সঙ্গে অধিকারীদের রক্তের সম্পর্ক রয়েছে তাদেরকে আমরা নেতা মানব না। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী হিসেবে একথা ঘোষণা করে দিয়ে গেলাম। একই সঙ্গে যাঁরা পাঁচ বছরের কম সময় ধরে রাজনীতি করেছেন, তাদের আমরা নেতা হিসেবে মানব না৷’’
শুক্রবার বিকেলে কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকে পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তরুণ জানা, প্রাক্তন সমবায়মন্ত্রী জ্যোতির্ময় কর,কাঁথি সংগঠনীক জেলার তৃনমূল কংগ্রোস সভাপতি তরুণ মাইতি সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। যদিও এদিন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন না রাজ্য সরকারের ভারপ্রাপ্ত মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি।
ঘটনার পর কটাক্ষ করতে ছাড়েনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি। তিনি অভিযোগ ফোনে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয় বলেন ” তিনি হয়তো জানেন না আমি ২০১৭ সালে থেকে জেলার দায়িত্বে রয়েছে। দীর্ঘদিন রাজ্য যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। কে মানলো না মানলো সেটা আমার জানার দরকার নেই। আমাকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়িত্ব দিয়েছেন।’’ তিনি আরও কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘নিজের বুধে জিততে পারেননি। সামনে পঞ্চায়েত ভোটকে রয়েছে৷ নিজের বুথ আগে সামলাক৷’’